দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরো এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হাঁপানিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম জহুরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল পশ্চিমপাড়ায়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১৪ ব্যাটালিয়ন জানিয়েছে, বুধবার রাতে ১৪-১৫ ব্যবসায়ী গরু আনতে ভারতে প্রবেশ করে। আজ ভোরে গরু নিয়ে সীমান্তের ২৩২ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথে ভারতের টেক্কাপাড়া বিএসএফ জহুরুলকে আটক করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে। পরে লাশ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ফেলে যায়।
১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে হাপানিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে জহুরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরই মধ্যে মরদেহটি পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল দল পাঠানো হয়েছে। বিজিবির অধিনায়ক বলেন, বিএসএফের গুলি ছোড়ার কারণ উদঘাটন করে জোর প্রতিবাদ জানানো হবে।
নওগাঁ ১৪ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রফিকুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কলমুডাঙ্গা সীমান্তের ২৩৭ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহীদুল ইসলাম সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের ছেলে।