এম,এ কাশেম ,
বাংলাদেশের একমাত্র জনপ্রিয় ব্যক্তি ও বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের নামে নাম করন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি গাজীপুর জেলার প্রান কেন্দ্রের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে যা বাংলার ১৮ কোটি মানুষের বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত । কিন্ত এই সাফারি পার্কের চারপাশে চলছে সরকারি বন বিভাগের জমি দখলের মহোৎসব শুধু সাফারি পার্ক নয় তার পাশের সরকারি জমি প্রকাশ্য দখল করে গড়ে তুলছেন নানা রকম ঘর বাড়ি সহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
এখানে শেষ নয়,গাজীপুরের প্রায় এলাকায় ভুমি দস্যুরা একের পর এক প্রতিযোগিতামুলকভাবে ঢালাও ভাবে সরকারি বন বিভাগের সম্পদ দখল করে যাচ্ছেন কয়েকশত একর জমি । এসব সরকারী কয়েকশত একর জমি ভুমি দস্যুদের দখলে থাকলে ও বন বিভাগের উদ্ধারে নেয় কোন প্রয়োজনীয় তৎপরতা, যেমন রাজেদ্রাপুর হোতাপাড়া মেম্বারবাড়ী ভবানিপুর সহ প্রত্যেক এলাকায় গড়ে উঠা একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরকারি বন বিভাগের জমি থাকলে রহস্যজনক কারনে উদ্ধারের নেই কোন উদো্গ। জানা যায় রাজেন্দ্রাপুরে অবস্হিত ঢাকা ফিশারিজ নামের একটি প্রকল্পে প্রায় ৫ একর সরকারি জমি রয়েছে । ঢাকা ফিশারিজ এর পাশের প্রতিষ্ঠানের মাঝে রয়েছেন ৩ একর মত জমি মনিপুরে চায়না মালিকানাধিন একটি ফ্যাক্টরিতে ও সম্পূর্ণ জমি বন বিভাগের থাকা সত্তেও বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ না নিয়া নামে মাত্র বন বিভাগের জমি দখলের মামলা দিয়া দায় মুক্তি নিয়া ভুমিদস্যুদের প্রশ্রয় দিয়া যাচ্ছেন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান ওপরের সকল কে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে দখল করে যাচ্ছেন সরকারি নামি দামি রেকডের মূল্যবান জমি ।
অপর একটি ভুমি দস্যু খ্যাত গিভেন্সী গ্রুপ। উক্ত গিভেন্সী গ্রুপ নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক শিল্প কারখানা রয়ছেন প্রত্যেক কারখানায় সরকারি বন বিভাগের জমি রয়ছেন কিন্ত গিভেন্সি গ্রুপটি বন খেকো নামে পরিচিত হলে এখনো উদ্ধার করতে পারনি দখলে থাকা বন বিভাগের কোন জমি ।
গিভেন্সী নামে অংগ প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা প্রায় ১০/১৫ একর জমির জন্য, নামে মাত্র বন বিভাগের একাধিক মামলা থাকলে ও কিন্ত উদ্ধার করতে পারেনি কোন জমি । কারন বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজেশে এসব হচ্ছে বলে একধিক সূত্রে জানা গেছে ।বাগের বাজারে রাস্তার পূর্বে পার্শের এক কিলো মিটার ভিতরে ইভেন্টস গার্মেন্টস বা চৌধুরী গার্মেন্টস এর মালিক সাবেক বি,জি, এম, আই এর সভাপতি জনাব আনোয়ারুল ইসলাম নিজেই সরকারি বন বিভাগের জমির ওপরে সৌখিন ভাবে ডাক বাংলো গড়ে তুলেন এসব বিষয়ে তার সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি সেটা প্রতিবেদকের দেখার বিষয় না বলে এড়িয়ে যান এবং শাসিয়ে দেন কোন সংবাদ যেন প্রকাশ না করি ,এসব ভুমি দস্যুদের কারনে বন বিভাগের জমি রক্ষা করা কঠিন হইয়া দাঁড়িয়েছেন।
হোতাপাড়ার রাস্তার উভয় পাশে একাধিক কারখানার আছেন বেশ কিছু সম্পদ এর মধ্য ফু-ওয়াং ফ্যাক্টরী,সান ফাওয়ার ,ফার সিরামিকে প্রায় বন বিভাগের ১/২ একর জমি থাকা সত্ত্বেও সরকারি কোন নিষেজ্ঞা নেই কিন্ত একাধিক বার জমি উদ্ধারের নামে মাত্রে চেষ্টা করলে পরবর্তীতে রহস্যজনক ভাবে থেমে যায় উদ্ধার অভিযানেযানের। গাজিপুরে ভাওয়ালগড় ,মির্জা পুর,পিরুজালিজা রাজাবাড়ী, মাওনা ইউনিয়ন এর মাঝে শতাধিক ভুমিদস্যুরা নির্ভয়ে বন বিভাগের জমি দখল করে যাচ্ছেন শুধু তাই নয় রাতের অন্ধকারে নিধন করা হচ্চে মূল্যবান গাছ বৃক্ষ ও সবুজ বাগান ।
প্রথমে গাছ কেটে ফেলেন পরে রাতের অন্ধকারে জমির চারপাশে ইটার তৈরীই দেওয়াল নির্মাণ করে যাচ্ছেন পরে সাইন বোড টাঙানো হচ্ছে নিজের নামে বা কারখানার নামে এসব জমি দখলের নৈপথে হাত রয়েছেন নিকটষ্হ বিট কর্মকর্তাসহ এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের। এভাবে প্রতিযোগিতামুলকভাবে দখল করে নিয়া যাচ্ছেন সরকারি শতশত একর জমি একধিকে যেমন সুবিধা পাচ্ছেন সরকারি কিছু অসাধু বিট কর্মকর্তারা অন্যধিকে ভুমিদসু্রা উৎসাহিত হচ্ছেন বন বিভাগের জমি দখলের , যেমন হোতা পাড়া ভবানীপুরের মাঝখানে সান ফ্লাওয়ার নামের একটি ফ্যাক্টরীর মধ্যে সরকারি বন বিভাগের অনেক জমি থাকা সত্ত্বেও উদ্ধারর করতে সক্ষম হচ্চেনা কারন নামে মাত্র মামলা দিয়া বিট কর্মকর্তারা দায় থেকে অব্যহতি পান বিনিময়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা ,এসব জমি একধিকে যেমন উদ্ধারের কোন চেষ্টা নেই তেমনি করে বিট কর্মকর্তারা গোপনে আতাত করে জমি দখলের জন্য সহযোগিতা করে চলছেন একের পর এক বিগত পাঁচ বছরে গাজীপুরে যে সব বিট কর্মকর্তারা চাকরিরত আছেন তাদের সম্পদ এর সঠিক হিসাব নির্ধারণ করলে অবৈধ ভাবে অর্জিত আয়ের উৎসব বেরিয়ে আসবে কারন তারা সরকারি বন বিভাগের জমি রাতের অন্ধকারে ভুমিদস্যুদের হাতে তুলে দিয়া লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্যেও করে যাচ্ছেন।
কারন গাজীপুরের একাধিক বন বিভাগের কর্মকর্তা ভাওয়াল রেঞ্জে পোস্টিং নিতে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের কয়েক লক্ষ টাকার ঘোষ দিতে হই। এসব ঘোষের টাকার যোগানের এক মাত্র উৎসব হিসাবে সরকারি বন বিভাগের জমিকে টার্গেট করে থাকেন মনিপুর ভবানিপু্র,রাজেন্দ্রাপুর,বেরামতলি,বাড়ইপাড়া,মাওনা,
শ্রীপুর বিটের অধীনে শতাধিক শিল্প কারখানার মাঝে প্রায় শত একর জমি ভুমি দস্যুদের দখলে আছেন ।গাজিপুরের অনেক এলাকায় সরকারি জমি দখল করে রাতারাতি অনেকে কোটিপতি হওয়ার প্রমান আছেন এসব কারনে একধিকে যেমন বন ও পরিবেশের ধ্বংসর পথে আছেন । অনাদিকে উজাড় হয়ে যাচ্ছে সরকারি বাগান ও পরিবেশ,হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির নানা রকম প্রাণী বিলুপ্তি হইয়া যাচ্ছে এক সুন্দর পরিবেশ ।এভাবে বন বিভাগের জমি দখল যদি অব্যহত থাকেন । তাহলে পরিবেশের ওপর চাপ বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ।
সরকারি শতকোটি টাকার সম্পদ রক্ষার স্বাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা পূর্বক খাস জমিগুলি ভুমি দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করে পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য দেশের শীর্ষ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সু দৃষ্ঠি কামনা করেন । এবং গাজীপুরে বন বিভাগে নিয়োজিত সকল বিট কর্মকর্তাদের নিজেদের সম্পদের হিসাবের তথ্য সন্ধান করলে নানা রকম দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসবে । কারন যে সব বিট অফিসারগন গাজীপুরে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত আছেন তারা অবৈধ ভাবে টাকা আয় করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন । গাজীপুরের ভাওয়াল গড় ধ্বংস হওয়ার পিছনে একমাত্র কারন হিসাবে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা দায়।
গাজিপুর রাজেন্দ্রাপুর,মনিপুর ,বাংলা বাজার,মেম্বার বাড়ী, বাগের বাজারসহ প্রতান্ত্য এলাকায় গড়ে ওঠা ফ্যাক্টরীতে সরকারি বন বিভাগের জমি বিট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দখল করা হয়ছে মমে একাধিক সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় । শ্রীপুরের ,কালিয়াকৈরে, এসব এলাকার অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাঝে বেশ কিছু জমি আছে যা বন বিভাগের । এসব সম্পদ বন বিভাগের নামে রেকর্ড থাকলে ও অদৃশ্য কিছু অশুভ শক্তির কারনে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান । বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রভাবশালীরা এসব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যামে সরকারি সম্পদ নিজেদের নামে লুট করে নেওয়ার বিষয়টি অনেকে স্বীকার করলে ও ভাব প্রকাশে অনিচ্ছুক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিট কর্মকর্তা বলেন কিছু ভুমি দস্যুদের কারনে গাজীপুরের সরকারি সম্পদ রক্ষা করা আমাদের কাছে কঠিন হইয়া দাঁড়িয়েছে কারন সরকারি শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ভাল সম্পর্ক থাকায় কোন কিছু করা যাচ্ছেনা। ভবানিপুরের পিঙ্গাইলে গ্রীন টেক রিসোর্ট নামের পিকনিক স্পটের মাঝে সরকারি বন বিভাগের বাগান সহ দখল করে আবাসিক হোটেল এর তৈরি করেন কিন্ত এসব জমি উদ্ধারের জন্য সরকারি ভাবে মামলা করেও কোন লাভ হইনি যার কারনে প্রায় ২ একর মত জমি এখনো গ্রীন টেক রিসোর্টের দখলে রয়ে গেছেন ।
এবং গ্রীন টেক রিসোর্টের চারপাশে নির্মাণাধীন সব ইটার ভান্ডারী সরকারি বন বিভাগের জমির ওপরে নির্মিত। এসব ভুমি দস্যুদের কারনে সরকারি সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হইয়া দাঁড়িয়েছেন । এছাড়া মেম্বার বাড়ীর আশে পাশে একাধিক পিকনিক স্পোর্টের মালিকেরা ও সরকারি জমি দখল করে গড়ে তুলেন নানা রকমের প্রতিষ্ঠান।এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটির নিকট আছেন বন বিভাগের জমি । ভবানিপুরের লুটিয়ারচালাতে যেসব জমি এখন প্রতিযোগিতামুলক ভাবে দখল করা হচ্ছে এসব জমি যারা দখল করেছেন তার মধ্য আছেন সরকারি কিছু রাজনীতিক উচ্চ মানের নেতা ও তাহাদের মেয়ের জামাতা ,যেখানে বিট কর্মকর্তারা বাধা সৃষ্টি করা ও অসম্ভব ।
কারন এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিট অফিসার সন্তোসজনক কোন সদুত্তর দিতে পারনি। কারন এসব বিষয়ে কোন বাধা প্রতিবন্ধকতা করলে নিজেদের ও সমস্যার সম্ভবনা থাকেন, এ ছাড়া মেম্বারবাড়ি, বাগেরবাজারের মধে কিছু পোল্টিরী ফার্মের মালিকেরা অনেকে বন বিভাগের সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন এসব জমির জন্য বন বিভাগের কোন নজরদারি নেই। সরকারি বন বিভাগের কর্মকর্তারা যদি প্রশাসন এর সহযোগিতা নিয়া সরকারি বন বিভাগের জমি উদ্ধার অভিযান অব্যহত রাখেন তাহলে বন বিভাগের জমি উদ্ধার করা সহজ হবে রক্ষা পাবে সবুজের ঘেরা সুন্দর একটি বন গাজীপুরের মানুষ ফিরে পাবেন সুন্দরের আকর্ষণীয় এক পরিবেশ বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তিতে ছাপানো হবে ……