দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বরিশালে পদোন্নতির জন্য ‘ঘুষের তহবিল’ সংগ্রহে অধঃস্তনদের প্রলুব্ধ করার অভিযোগে একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে বুধবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় মঙ্গলবার আরও ১০ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করে বাহিনীর সদর দপ্তর।
স্থানীয় বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার দু’শতাধিক সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই পদোন্নতির অপেক্ষায় ছিলেন। এদের অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ নিয়ে ‘ঘুষের জন্য একটি তহবিল’ গঠন করেন পুলিশেরই একদল সদস্য।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে পদোন্নতির জন্য ঘুষের টাকা সংগ্রহে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বা ডিসি জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে।
সে কারণে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “তিনি নিন্মপদস্থ পুলিশ কর্মচারীদের একত্রিত করে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা উত্তোলন করেছেন তাদের প্রমোশনের জন্য কোন জায়গায় ঘুষ দেয়ার জন্য। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।”
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা:
এআইজি নজরুল বলেন, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ নিজেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বরিশালের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন জিল্লুর রহমানের সহায়তায় আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য অন্তত ৭৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন পদোন্নতি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে।
ওই টাকার একটি অংশ তিনজন পুলিশ সদস্যের নামে খোলা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়। বাকী টাকা কোনো একজনের ব্যক্তিগত হিসেবে রাখা হয়।
বরিশালের পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশালে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার আরও ১০ জনকে ইতোমধ্যেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা শুরু হবে। রিপোর্টটি আজ ও কালের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি।