বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের
বেতন ও উৎসব ভাতা আগামী ১০
থেকে ১৪ জুলাইয়ের দেয়া হবে
বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
কামাল।
আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে
সাংবাদিকদের জানান,নির্দিষ্ট
এ সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা
প্রদানের জন্য মালিকদের নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই
থেকে শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি
দিতেও বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের
বেতন-ভাতা বুঝে নিতে দেশের
সব শিল্পাঞ্চলের ব্যাংকগুলোকে
১৫ জুলাই পর্যন্ত খোলা রাখতে
বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আরো বলেন, বেতন-ভাতা
পরিশোধের বিষয়টি
মনিটরিংয়ের জন্য শিল্প
মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত
সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে
বিজেএমইএ, বিকেএমইএ নেতা ও
শিল্প পুলিশ কর্মকর্তারাও থাকবেন।
এ কমিটি বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই)
থেকে কাজ শুরু করবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বেতন-
বোনাস নিয়ে গার্মেন্টস খাতে
যেন কোনো অস্থিতিশীল
পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য
পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী সজাগ থাকবে।
তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে
বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের
অপপ্রয়াস রুদ্ধ করে দেয়া হবে।
ঈদে যানজট সৃষ্টির বিষয়ে
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঈদের সময়
মহাসহড়কে যানজট ও মানুষের চাপ
কমাতে গার্মেন্টসগুলোকে একই
দিনে ছুটি দেয়া ও খোলা যাবে
না। ছুটি দেয়া ও খোলার জন্য
এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং
বিকেএমইএকে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
ঈদে সড়ক-মহাসড়ক, নৌ-পথ ও
রেলপথে ঘরমুখো মানুষের
নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক
সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে
প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন
বোনাস প্রসঙ্গে মালিক-শ্রমিক ও
সরকারের যৌথ বৈঠকের
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন
বাংলাদেশ টেক্টাইল-গার্মেন্টস
ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের
সভাপতি আবুল হোসাইন।
একইসাথে তিনি আশংকা প্রকাশ
করে বলেছেন, এবারও আনেক
কারখানার শ্রমিক যথাসময়ে
তাদের বেতন বোনাস পাবেন
না।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামালের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো.
মোজাম্মেল হক খান, বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব
হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন,
পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম
শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক
বেনজীর আহমেদ, বিজিবির
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল
আজিজ আহমেদ এবং ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ।