প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, পেট্রলবোমা
হামলার নির্দেশদাতা খালেদা
জিয়া ও তার সহযোগী সব
অপরাধীর নামে দায়ের করা
মামলাগুলোর বিচারের জন্য
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ
ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা
রয়েছে সরকারের।
তবে ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগ পর্যন্ত
দ্রুত এসব অপরাধের বিচারের জন্য
দায়রা জজকে ক্ষমতা দেয়া
হয়েছে।
বুধবার সংসদে সরকারি দলের
সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের
জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা
জিয়ার হুকুমে এ বছরের ৫ জানুয়ারি
থেকে টানা হরতাল ও অবরোধে
মোট ১৩৪ জনকে হত্যা করা হয়।
তাদের ইস্যুবিহীন কথিত
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডের মধ্যে ১ হাজার ৩৯৫টি
যানবাহনে, ১৩ দফা ট্রেনে এবং ছয়
দফা লঞ্চে নাশকতা চালানো হয়।
পৌনে ১১টায় স্পিকার শিরিন
শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে
জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
সরকারি দলের ওয়াসিকা আয়শা
খানের প্রশ্নের জবাবে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-
ভারত সীমান্ত চুক্তি শিগগির মাঠ
পর্যায়েও বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে অপদখলীয় ভূমি সংক্রান্ত ও
অচিহ্নিত সাড়ে ছয় কিলোমিটার
সীমান্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই
চুক্তির ফলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের
অমীমাংসিত সমস্যার চিরস্থায়ী
সমাধান হবে। আন্তর্জাতিক
সীমারেখা সুনির্দিষ্ট হবে। এই
চুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে,
প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা যতই
জটিল হোক না কেন আলোচনার
মাধ্যমে তা সমাধান সম্ভব।
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর
প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের
মধ্যে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত
চুক্তি বাস্তবায়নের পর
ছিটমহলবাসী বন্দিজীবন থেকে
মুক্ত জীবনে ফিরে যাবেন। এরপর
রাষ্ট্র তাদের সব মৌলিক অধিকার
নিশ্চিত করার কাজ শুরু করবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, চুক্তির
মাধ্যমে ১১১টি ছিটমহল
বাংলাদেশের অনুকূলে আসবে।
এতে ১৭ হাজার ১৬১ একর জমি
বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হবে।
যেখানে বসবাসকারী নাগরিকের
সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৬ জন।
অপরদিকে ভারতের অনুকূলে যাবে
৫১টি ছিটমহল। জমির পরিমাণ ৭
হাজার ১১০ একর। সেখানে
বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা
১৪ হাজার ৯০ জন।
মো. আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের
বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা
করছেন। তিনি বিষয়টিকে
রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে
শিগগির তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি
করার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে
বাণিজ্যে সমতা আনার জন্য
বাংলাদেশে শুধু ভারতীয়
বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার
ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।