অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাস তৈরি করলেন স্মিথ। টেস্টের পর একদিনের ম্যাচেও অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন স্মিথ। জর্জ বেইলি এই ম্যাচে সাসপেন্ড হওয়ায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্মিথ। আসন্ন বিশ্বকাপে অবশ্য স্মিথই অধিনায়ক থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার।
জিতলেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবেন এই পরিস্থিতিতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটে পাঠান অজি অধিনায়ক স্মিথ। শুরুটা চমৎকার করেছিল ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার মঈন আলি এবং ইয়ান বেল জুটিতেই ওঠে ১১৩ রান। বেল ১২৫ বলে ১৫ টি চার ও একটি ছক্কায় দুরন্ত ১৪১ রান করেন। মঈন করেন ৪৬ রান। জেমস টেলর ও অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান এদিন খালি হাতে ফেরেন৷ যদিও বেল-মঈনের করা শক্তভিতের উপর দাঁড়িয়ে দলকে বড় রানের দিকে পৌঁছে দেন জো রুট (৬৯) ও জশ বাটলার (২৫)। অজিদের হয়ে হাত ঘুরিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত গুরিন্দর সাঁন্ধু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (৩২) ও শন মার্শ (৪৫) জুটিতে ওঠে ৭৬ রান। এরপর অধিনায়ক স্মিথ ৯৫ বলে অধিনায়কোচিত অপরাজিত ১০২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ক্যামরুন হোয়াইট শূন্য হাতে ফিরলেও ম্যাচ জিততে স্মিথকে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যাক্সওয়েল (৩৭), ফাকনার (৩৫) ও হ্যাডিন (৪২)। ইংল্যান্ডের হয়ে বল করতে নেমে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়েকস, মঈন আলি এবং ফিন।
৩০ জানুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। অন্যদিকে, ভারতের বাকি দুটি ম্যাচের ফলাফলের ঠিক করে দেবে পার্থে ১ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে অজিদের মুখোমুখি হবে কারা।