৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, মন্ত্রী, এমপি ও সংসদের হুইপ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল করেছেন বলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যে অভিযোগ তুলেছে তা অত্যন্ত গুরুতর। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকেই এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি মন্ত্রী, এমপি, হুইপরা দখল করে নিয়েছেন। এখন ক্ষমতায় অসাম্প্রদায়িক সরকার। এ সময়ে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। সংখ্যালঘুরা কার আশ্রয়ে যাবে। এখন যদি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসব খবর আসে, আর এটা যদি সত্য হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন,আপনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেবেন আর নিজে অসাম্প্রদায়িক হতে পারবেন না, এটা হয় না। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।
দেশে সম্প্রতিক শিশু হত্যার ঘটনার উদ্বেগ জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, শিশু হত্যা হতে পারে, কিন্তু বিকৃত চিন্তায় শিশু হত্যা হবে কেন? এটি শঙ্কার বিষয়। এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব হত্যার সঙ্গে যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য সহযোগিতা করেছেন তারাও সমান অপরাধী। তাদেরও বিচার করতে হবে।
এদিকে, সাম্প্রতিক শিশু নির্যাতনের ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বেগম হালিমা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিশু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত যারা, প্রায় প্রত্যেকেই ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পরিষ্কার নির্দেশনা হচ্ছে, শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।