এম,এ কাশেম ।।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় টোক ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামে একগৃহ বধুর রহস্যজনক মৃতকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছেন। জানা যায় গত ৬ আগস্ট কলেজ পড়ুয়া নাজমা আক্তার প্রতিদিনের মত কলেজে যান ।
তিনি পরে কলেজ শেষ করে বাসায় আসে স্বামী আতাব উদ্দিন কলেজের উপবৃত্তির টাকাকে কেন্দ্র করে নাজমার সাথে বাক-বিতণ্ড জড়িয়ে পরেন । পরে এক পর্যায়ে স্বামী আতাব উদ্দিন নাজমার কাছে থেকে উপবৃত্তির টাকা ছিনিয়ে নেন । এই নিয়া আতাব উদ্দিন ও নাজমার মার সাথে ও খারাপ আচরণ করে নাজমার স্বামী । পরে আতাব উদ্দিন নিজের রাগ ও নাজমার উপরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কৌশলে বাড়ির পাশের গজারি বাগানে নিয়া পরিবারের সবার অজান্তে কৌশলে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন এবং নাজমাকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অপপ্রচার চালাতে থাকেন ,পরে অনেক খুঁজাখুঁজির পরে সন্ধার পরে নাজমার লাশের সন্ধান দেন স্বামী আতাব উদ্দিন , কিন্তু সু-চতুর আতাব উদ্দিন নাজমা আত্নহত্যা করেন বলে অপপ্রচার চালিয়ে যান ।
নাজমার মা বলেন আমার মেয়ের বিয়ে হয় প্রায় দুই মাস আগে কিন্ত আমরা মেয়ের এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না কিন্ত মেয়ে ছেলেকে ভালবাসার কারনে বিয়েতে আমরা রাজি হয়ে যায়। কিন্থু এভাবে নাজমাকে নির্যাতন করবে আমাদের জানা ছিলনা ।নাজমার স্বামী কারনে অকারনে তিনি আমার মেয়েকে মারধর করতেন শুধু তাই নয় মেয়ের বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় স্বামীর নির্যাতনের কথা ও যৌতুকের টাকা দাবি করে চাপ দিয়া আসছিলেন বলে জানান । নাজমা কলেজে পাওয়া উপবৃত্তির টাকার জন্য ও নাজমার মার সাথে তকের কারনে সেই পাষণ্ড স্বামী নাজমাকে সন্ধার আগে গলাটিপে হত্যা করে গাছের সাথে টাঙ্গিয়ে রাখেন বলে দাবি করেন নাজমার মা ।কিন্তু আতাব উদ্দিন স্ত্রী সুখে কাতরের অভিনয় করে যাচ্ছেন বলে এলাকার অনেকে দাবি করেন ।
একদিকে স্বামী আতাব উদ্দিন বলেন আমরা গুপনে বিয়ে করাতে আমার শাশুড়ি প্রায় সময় আমার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং মানসিক নির্যাতন করতেন বলে তিনি বললে ও প্রতিবেশির কাছে এই রকম বক্তবের ব্যপারে জানতে চাইলে বিষয়টি ভিত্তিহিন বলে দাবি করেন । দুই গ্রুপের পরস্পর বক্তব্য সন্দিহান গ্রামবাসীর কারন এই রকম এক কলেজ ছাএীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয় এবং তার মুত্যুকে কেন স্বামী আত্নহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন ।
আমরা তার সু-বিচার চাই এলাকার লোকজন আর ও বলেন মেয়েটির লাশ শশুর বাড়ির পাশের গাছের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থ্যায় দেখা যায় তার কারন রহসয় বলে জানান । এবং কেন নাজমার মৃত্যুর সংবাদ স্বামী ডাকাডাকি করে তার শশুর বাড়ির লোকজনকে বলেন এতাও রহস্যবৃত । কলেজ ছাত্রীরই রহস্যজনক মৃত্যুর কারন স্বামী আতাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য পাওয়া যাবে বলে এলাকার সবাই দাবি করেন। এবং এই ব্যপারে কলেজ ছাত্রী নাজমার হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে টোক কলেজে আজ এক মানব বন্ধনের ডাক দিয়েছেন ছাত্র সমাজ সাধারন জনগণ সহ এলাকার সবেস্তরের জনগণ ।
এই ব্যপারে আমাদের সময় ডট কমের প্রতিনিধি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে কাপাসিয়া থানার এস আই আজহার বলেন আমরা লাশের ময়না তদন্তের রিপোট হাতে পেলে ঘটনার সব কিছু জানা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা পরে আইন গত ব্যবস্হা নেওয়া হবে । আপাতত যে অপমৃত্যু মামলা হয়ছে সেটা বাদির আবেদনের কারনে নেওয়া হয়েছে এবং আমরা এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা নিব এবং অপরাধীকে খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে জানান।