বৃহস্পতিবার রাতে সিটি আর্ট গ্যালারিতে প্রদীপ জ্বেলে ও ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
অনুষ্ঠানে মানিক সরকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সম্পর্ক হৃদ্যতার, বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তার। ঐতিহাসিক কারণে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
“একে আরও প্রসারিত করতে এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে সাহায্য করবে। অলোকচিত্র ইতিহাসের ধারক ও বাহক। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সাথে যোগসূত্র স্থাপনে আলোকচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
মানিক সরকার বলেন, “চট্টগ্রামকে আমরা শুধু আলোকচিত্রের মাধ্যমে বুঝতে চাই না। আমরা চাই, চট্টগ্রামের সাথে জীবন্ত সম্পর্ক গড়ে উঠুক। ত্রিপুরার মানুষের দীর্ঘ দিনের চাওয়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সাথে একটি স্থায়ী-স্থির বাণিজ্যিক সম্পর্ক।”
ইন্ধিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ঢাকা, বাংলাদেশ ও আগরতলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিপিজেএ) এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগরতলার তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ভানু লাল সাহা বলেন, “ভিন্ন দেশে থেকেও ভাষা-সংস্কৃতি ও ভাবনায় আমরা এক। আমাদের আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।”
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে ভারত তথা আগরতলাবাসীর সহযোগিতার কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সত্যব্রত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিপিজেএর সভাপতি দিদারুল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের হাতে সম্মাননা ও উত্তরীয় তুলে দেন সিপিজেএর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ।
প্রদর্শনীতে চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ২২ আলোকচিত্রীর ৩৩টি ছবি স্থান পেয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি সিপিজেএর ১৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম থেকে আগরতলায় যায়।
২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।