গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর
প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন
২০ দলীয় জোট আগামী ৫ সেপ্টেম্বর
(শনিবার) সারাদেশে প্রতিবাদ
সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করবে।
আজ (বুধবার) বিকেলে সংবাদ
মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা
করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির
সদস্য নজরুল ইসলাম খান। একই সাথে
কর্মসূচির পক্ষে ২০-দলীয় জেটের
প্রচারপত্র বিতরণের কাজও শুরু
হয়েছে।
তবে, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায় শনিবার জন্মাষ্টমী
উপলক্ষে তাদের মিছিল ও অন্যান্য
কর্মসূচি পালন করবে।
২০-দলীয় প্রচারপত্রে দাবি করা
হয়েছে, দেশ যখন বন্যায় ভাসছে,
লাখো বন্যার্ত মানুষ যখন বিপন্ন,
পেঁয়াজ-মরিচ, শাক-সবজি, চাল-
ডাল, মাছ-মাংসের অস্বাভাবিক
মূল্য বৃদ্ধির ফলে নির্দিষ্ট, নিম্ন ও
মধ্য আয়ের কোটি কোটি মানুষ যখন
দিশেহারা, ঠিক তখন অযৌক্তিক ও
বেআইনিভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও
সিএনজি’র দাম বাড়ানো হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান তার বিবৃতিতে
জানিয়েছেন, বিশ্ব বাজারে
জ্বালানি তেলের দাম ১২০ ডলার
থেকে কমে যখন ৪০ ডলার হয়েছে,
গত ৫ বছরে সরকারি সংস্থা
পেট্রোবাংলা যখন ২০ থেকে ৮০
হাজার কোটি টাকা মুনাফা
করেছে, তখন জ্বালানি তেল
দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম
কমানোই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু,
বিনাভোটে ক্ষমতায় বসা সরকার
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে
আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ,
যেহেতু তারা জনগণের ভোটে
নির্বাচিত নয়, সেহেতু জনগণের
প্রতি তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব
ও জবাবদিহিতা নেই। সঙ্গত
কারণেই গ্যাস-বিদুত্যের দাম না
কমিয়ে আরেক দফা বাড়িয়ে
দেয়া হয়েছে। এই অযৌক্তিক ও
গণবিরোধী সিদ্ধান্তের আমরা
তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং
অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য কমানোর
দাবি জানাচ্ছি- বলেন নজরুল
ইসলাম খান।
তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও
সিএনজির দাম বাড়ানোর ফলে
অনিবার্যভাবেই জীবনযাত্রার ব্যয়
বাড়বে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায়
রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে,
বিনিয়োগ কমবে, শ্রমিকরা চাকরি
হারাবে, কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ
বাড়ায় কৃষকরা আরো লোকসানের
মুখে পড়বে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, গ্যাস-
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যুক্তি
হিসেবে সরকারি কর্মচারিদের
বেতন বাড়ানোর বিষয়টিকে দাঁড়
করানো হয়েছে। কিন্তু ১৬ কোটি
মানুষের দেশে সরকারি কর্মচারি
রয়েছে মাত্র ১৩ লাখ। অর্থাৎ মোট
জনসংখ্যার ৪ শতাংশ’র বেতন
বাড়িয়ে ৯৬ শতাংশ মানুষের ওপর
বাড়তি দাম চাপিয়ে দিয়েছে
সরকার। এটা গণবিরোধী ও
অযৌক্তিক।