এম,এ কাশেম গাজীপুর থেকে,
গাজীপুরের অভিনব কায়দায় বিট কর্মকর্তা এমদাদ বনের জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। জানা গেছে গাজীপুরে ন্যাশনাল পার্কের অধীনে ভাউপারা বিটের বনের জমি জনগণের কাছে বিক্রি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বনের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিট কর্মকর্তা এমদাদ গাজীপুরে বন বিভাগে যোগদান করার পর থেকে তার দুর্নীতির ও ঘুষ বাণিজ্যে থেমে নেই । ভবানিপুর বিটে থাকাকালীন সময়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টা কারখানার মাঝে ইভেন্টস গার্মেন্টস, গ্রিন টেক রিসোর্ট, ফিনিক্স ফ্যাক্টরি, ভাওয়াল রিসোর্ট, সিম্পটেক্স, স্ক্রিন গ্রাপ সহ একাধিক ফ্যাক্টরিতে বনের জমি বিক্রি করে অল্প দিনে অনেক টাকার মালিক বনে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে । তিনি পরে বদলি হয়ে ভাওয়াল রেজ্ঞের অধীনে বারইপাড়া বিটে বদলি হয়ে পুনরায় অল্পদিনের মাঝে বনের জমি বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা ।
নেসলি ফ্যাক্টরিকে সংলগ্ন বনের জমিতে মাটি ভরাট করতে সহায়তা করে বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছেন। বিট কর্মকর্তা এমদাদের দুর্নীতির তথ্য সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র গজারিয়া পাড়ার খলিল মার্কেটের ভুক্তভোগী রুস্তম আলী জানান খাস জমিতে দোকানের ঘর নির্মাণ করার জন্য বিট কর্মকর্তা তার স্টাফ মহিদুল কে দিয়া রুস্তমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন পরে তিনি টাকা নেওয়ার পরে দোকানের নির্মাণ কাজ করলে রুস্তমের কাছে আর ও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন অসহায় রুস্তম আলী টাকা দিতে না পারায় দোকান ভেঙ্গে দেন । রুস্তম আলী জানান ৩-৪ দিন আগে বিট কর্মকর্তা খলিল মার্কেটের খলিলকে মার্কেটে ২ টা রুম সরকারি খাস জমিতে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নির্মাণ করতে দেন ।আমি ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আমার দোকানের তিনসেট ঘরটি ভেঙ্গে দেন ।
রুস্তম আরো জানান, বিট কর্মকর্তারা এলাকায় দালালের মাধ্যমে শত শত বাড়ি টাকার বিনিময়ে করতে দিয়েছেন। এই বিটে টাকা দিলে সরকারি খাস জমিতেবাসা বাড়ি দোকান পাট করার অনুমতি মিলে । শুধু তাই নয় বিট কর্মকর্তা এমদাদ ভাউপারা বিটে যোগদানের পর থেকে তার অপকর্ম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছেন । এলাকাবাসি জানান বিট কর্মকর্তা এমদাদ ভাউপারা বিটের অধীনে খাস পাড়ায় বনের জমি ব্যবহার করে অবৈধ গ্যাস লাইন নির্মাণের সময় বাঁধা দেন পরে রাইজার প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দফারফার পরে অবৈধ গ্যাস লাইন স্হাপনে সহায়তা করেন বিট কর্মকর্তা এমদাদ । অনৈ্তিকভাবে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে খাস পাড়া থেকে ৫জন লোক ধরে নিয়া মামলার ভয় দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে ।
এই ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা এমদাদের সাথে ফোনে তথ্য জানতে চাইলে তিনি তার সাথে দেখা করার কথা বলেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন এই প্রস্তাব প্রত্যখান করায়। তিনি শাসিয়ে দেন যে বেশি বাড়াবাড়ি না করতে বলেন অন্যথায় বনের মামলার আসামি বানানোর হুমকি অব্যহত রাখেন । এই ব্যাপারে বন্যপ্রাণীর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান যদি বিট কর্মকর্তা অপকর্ম করে থাকেন তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্হা নেওয়া হবে । বনের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সচেতন মহল বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং বিট কর্মকর্তা এমদাদের অপকর্মের সু-বিচার দাবি করেন । চলবে…