এম,এ কাশেম, গাজীপুর থেকে।।
গাজীপুরের বাউপারা বিট কর্মকর্তা এমদাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবেদককে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে । এই ব্যাপারে প্রতিবেদক জয়দেবপুর থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর ১৩৯৩ নং সাধারণ ডাইরি করেন।
গাজীপুরে বিভিন্ন বিটে , বিট কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর থেকে প্রায় কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছেন । এমদাদ বিট কর্মকর্তা হিসাবে বাউপারা বিটে যোগদান করার পর থেকে ৫০ থেকে ৬০ টা বাড়ি বনের জমিতে, টাকার বিনিময়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
যেখানে বনের জমি বিট কর্মকর্তা বিক্রির কারনে সংবাদ প্রকাশ করলে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । সেখানে সাধারণ জনগণ বাচবে কি করে দুর্নীতিবাজ এমদাদের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হবে বলে জানান। এলাকার সুশীল সমাজ এমদাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ও ভয় পান । এই ব্যপারে বিট কর্মকর্তার কথিত ক্ষতিপয় কিছু সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদককে সত্য ঘটনা চাপা দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছেন ।
বিট কর্মকর্তা এমদাদ ভবানিপুর বিটে থাকাকালীন সময় নানা অপকর্ম করে গেছেন । যার মধ্য উল্লেখ্য হচ্ছে পিঙ্গাইল রোডের গভির জঙ্গলে সিটিসেল কোম্পানির টাওয়ার ও ঘর এবং অঙ্ক বাবুর মেয়ের জামাতা ২ টা ফাঁকা তিনসেট বাড়ি ,গ্রীন টেক রিসোর্ট এর অর্থয়ানে বনের জমিতে ব্যক্তিগত রাস্তা এবং নয়ন পুর এলাকায় শাহ মেম্বারের ছোট ভাই নিয়াজ উদ্দিন বনের জমিতে ২ তলা ফাউন্ডেশন করা ফাঁকা বাড়ি এবং হাসেম মেম্বার বনের জমিতে ৪ তলা ফাউন্ডেশন করা বাড়ি সহ বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ থাকা সত্তে ও বনের উদ্ধতন কর্মকর্তারা নিরবে দর্শকের ভুমিকা পালন করছে বলে জানা গেছেন।
ইতিপুরবে বিট কর্মকর্তা এমদাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কারনে তদন্ত কমিটি হলে কোন ধরনের সমস্যা না হওয়াতে বীরদর্পে বনের জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছেন। বিট কর্মকর্তা এমদাদ বাউ পাড়া বিটে অল্প দিন ধরে যোগদান করলে ও নানা অপকর্মের কারনে এলাকার লোকজনের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠার সংবাদ পাওয়া যায় ।
যেমন বাংলা বাজার রাস্তায় ব্রাক সংলগ্ন পেট্রোল পাম্প বনের জমি থাকা সত্তে বিট কর্মকর্তা এমদাদ নিরব কারণ কি সেটা কারও অজানা না । তিনি অনেক সু –চতুর বনের জমির ডিমারগেসন বানিজ্যে গাজীপুরের অন্য বিট কর্মকর্তাদের চাইতে এমদাদ এগিয়ে আছেন বলে জানা যায় । ডিমারগেসন এর নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বনের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার সংবাদ অহরহ যা চলমান ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিট কর্মকর্তা জানান গাজীপুরের সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার রাস্তায় এন,এ জেড সংলগ্ন ইনডেক্স ফাক্তরির মালিককে ও মিথ্যায় মামলা জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদ ও রাজেন্দ্রাপুরে গ্রিল দোকানের সওদাগর মিজানের কাছ কাছ থেকে একই ভাবে ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছেন ।
শুধু তাই নয় বাউপাড়া বিটে খাস পাড়া খ্যাত মধ্য পাড়া এলাকায় বিগত এক মাসের মাঝে ২০-২৫ টা নতুন করে বনের জমিতে বাড়ি করে দেন অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে । এমদাদের হাতে ক্ষতির স্বীকার হওয়ার মধ্য একজন রুস্তম আলী জানান তিনি এমদাদের কথা মত ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পরে সাংবাদিকদের এসব বিসয়ে অবগত করার কারনে গজারিয়া পাড়ার রুস্তম আলী কে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছেন ।
বাউ পাড়া বিটের অধীনে নান্দুইয়াল এলাকায় বনের জমিতে বিলাশ বহুল সখের পিকনিক স্পট থেকে ও মোটা অঙ্কের টাকা ও নিয়মিত যাওয়া আসা করে অসমাজিক কার্যকলাপের সুবিধা ও মাসিক হারে চাঁদা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ বিষয় নিয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্হপনা বিভাগের প্রধান তপন কান্তি নাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি এমদাদের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন আপনি রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন এবং এমদাদের বিগত দিনের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তাধিন অভিযোগের রিপোর্টের কপি জমা হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি ও বিষয়টি জানেনা বলে জানান।
এই খান থেকে প্রতীয়মান হয় যে বিট কর্মকর্তাদের কে অপকর্ম করতে রেঞ্জ কর্মকর্তারা উৎসাহিত করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত করেন । কারণ বিট কর্মকর্তাদের আয়ের কিছু অংশ রেঞ্জ কর্মকর্তারা ভাগ নেন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যএকজন ফরেস্টার জানান বিট কর্মকর্তা এমদাদের সাথে বনের উচ্চ মহলের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে বনের অপকর্মের কোন ব্যবস্হা নেওয়া হয় না । অতীতে গাজীপুরের বনের জমি বিক্রি ও নানা কেলেঙ্কারি করার কারনে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে তদন্ত কমিটি করা হলে ও এখনো রিপোর্ট প্রকাশ করেনি বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ । চলবে…