৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেছেন, ‘যে সমস্ত গণমাধ্যম বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ‘ভোটবিহীন নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার একক কর্তৃত্ববাদী শাসন চালুর পাঁয়তারা করছে। এর অংশ হিসেবে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না।’
‘সরকার গোপন গণমাধ্যম নীতির মাধ্যমে সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে’ মন্তব্য করে অবিলম্বে সব গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ (সোমবার) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সরকারি চেষ্টা এবং আইসিটি আইনের সমালোচনা করে রিপন বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই গণমাধ্যমের কণ্ঠ আরো বেশি করে রোধ করা হচ্ছে। তিনি গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন। আইসিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্ট গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী। এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রতি অপ্রকাশ্য বৈরী নীতি চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই সরকার গণতান্ত্রিকও নয়, সামরিকও নয়।’
অবিলম্বে বিতর্কিত আইসিটি অ্যাক্ট বাতিল করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে রিপন বলেন, ‘ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম, একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার কনক সরওয়ারসহ আটক সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি এ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
সরকার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এবং টক শো নিয়ন্ত্রণ করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রিপন।
বিফ্রিংয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি করেছে দলটি।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘টাঙ্গাইলের ঘটনায় স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গুলি করার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই সরকার সাতজন পুলিশকে প্রত্যাহার করেছে। আর পুলিশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, ঘটনাটি আইনানুগ হয়নি।’
এ সময় টাঙ্গাইলে পুলিশ নিয়মবহির্ভূতভাবে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দল সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান প্রমুখ।