৫২ মফস্বল ডেস্ক ।।
রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকায় অবস্থিত ৫০ শষ্যা টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল। টঙ্গীর আশ পাশে সরকারি কোন হাসপাতাল না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন এই হাসপাতাল। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় এই হাসপাতালকে উন্নতি করণ করে ২৫০ শষ্যায় রুপান্তরিত করা হয়েছে। নব নির্মিত ৮তলা এই ভবনটি দ্রুত এগিয়ে চলছে শেষ প্রস্তুতি। চলতি বছরের যে কোন সময় উদ্ধোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক যুগ পর বদলে যাচ্ছে টঙ্গীর চিকিৎসা সেবার মান। টঙ্গী ও আশ পাশ এলাকায় সরকারি কোন হাপাতাল না থাকায় স্বল্প আয়ের লাল লাখ মানুষ বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। নিবির পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে সিৎকিসা সেবা। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল কিংবা অন্য কোন হাসপাতালে যেতে হবে না। কবে উদ্বোধন হবে সেই অপেক্ষায় এখন টঙ্গী বাসী।
সরেজমিন ঘুরে আরো জানা যায়, রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকায় অবস্থিত টঙ্গীর ৫০ শষ্যা হাসপাতাল ঘেষে কোটি কোটি ব্যয়ে নতুন করে নির্মিত হয়েছে ৮তলা ভবনের ২৫০ শষ্যা হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি চালু হলে চিকিৎসা সেবায় থাকছে নাক, কান, গলা, চক্ষু বিভাগ, কার্ডিওলোজী বিভাগ, এনেসফেসিয়া বিভাগ, হেপাটলোজী বিভাগ, ফরেনসি বিভাগ, আইসিইউ(ইউনিট), অর্থপেডিক, বক্ষব্যাধি, নিউরোলজী, সার্জারী, ক্যান্সার বিভাগ, রক্ত পরিক্ষা সঞ্চালন বিভাগ, রেডিওলোজী ও ইমেজিং বিভাগ, শিশু কিডনি বিভাগ, প্রসূতি ও গাইনী বিভাগ, ইউরোলোজী বিভাগ, প¬াস্টিক সার্জারী বিভাগসহ ২৭টি বিভাগ যোগ হচ্ছে। এছাড়া ২৪ ঘন্টা জরুরী বিভাগের জন্য প্রস্তুত থাকবে বিশেষজ্ঞ টিম। বর্তমানে ২১জন ডাক্তারের পাশাপাশি আরও অর্ধশতাধিক ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদ্ধারা পরিচালিত হবে ২৫০ শষ্যা হাসপাতাল। এবিষয়ে স্থানীয় শ্রমিক নেতা মোঃ আব্দুল আলিম, যুবলীগ নেতা মোঃ কাইয়ুম সরকার ও যুবলীগ নেতা মোঃ সোলায়মান বলেন, টঙ্গীর ৫০শষ্যা হাসপাতালকে ২৫০শষ্যা রুপারিত করার পেছনে সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে বর্তমান এমপি জাহিদ আহসান রাসেল ভাইয়ের অনেক অবদান রয়েছে। তাই এই হাসপাতালটি গাজীপুরের প্রিয় মানুষ শহীদ আহসান উল¬াহ মাস্টারের নামে নাম করনের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া এই হাসপাতালটি চালু হলে টঙ্গী ও আশ পাশ এলাকার মানুষের চিকিৎসা ভোগান্তি কমে যাবে। আর দুর কোথাও যেতে হবে না। বদলে যাবে চিকিৎসার সেবার মান।
জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন , জননেত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের মানুষের দু:খ সুখের বিষয়টি চিন্তা করে টঙ্গীতে উড়াল সেতু, খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম মাঠ, টঙ্গীর ৫০ শষ্যা হাসপাতালকে ২৫০ শষ্যায় রুপান্তরিত,নদীবন্দর নির্মান করে দিয়েছেন। স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল প্রধানমন্ত্রীর হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি এই হাসপাতলটি যেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে হয়।
এব্যাপরে স্থানীয় এমপি মো.জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, টঙ্গী ও গাজীপুরের মানুষের চিকিৎসা সেবার মান পাল্টে দেওয়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টঙ্গীতে ২৫০ শষ্যা হাসপাতাল নির্মাণ করে দিয়েছেন। হাসপাতালটি চালু হলে আর ঢামেক হাসপাতাল যেতে হবে না। হাসপাতাল নাম করনের বিষয়ে তিনি বলেন এলাকাবাসী আহসান উল¬াহ মাস্টারের নামে করার দাবি জানিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো পারেভজ হোসেন বলেন, অতি শ্রীঘই ২৫০শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি উদ্ধোধন হবে। এর কার্যক্রম চালু হলে টঙ্গী, মিরের বাজার পূবাইল, উত্তরা, এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন এলাকার লাখ লাখ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবে। আর দুরে কোথাও যেতে হবে না। বর্তমানে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। মন্ত্রনালয় থেকে বসে বসে দেখা যাবে হাসপাতালে চিকিৎসকরা উপস্থিত আছে কি না।