৫২ টঙ্গী প্রতিনিধি ।।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী মধুমিতা এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কের সংলগ্ন পূর্ব পাশে জলিল খান মার্কেটে অনমিকা আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন যাবৎ দশ থেকে পনের জন সুন্দরী রূপসী নর্তকী রিজার্ব রেখে অত্যন্ত দাপটের সহিত চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিক তাদের পতিতা ব্যবসা।
এ ব্যপারে বিভিন্ন সাংবাদিক ও প্রশাসন এর নজরদারিতে ও এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগে গত কয়েকমাস আগে ভ্রাম্মমান আদালত এর সহযোগীতায় র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আবাসিক হোটেল অনমিকা থেকে পতিতা ও খদ্দেরসহ বেশ কয়েকজনকে হাতে নাতে আটক করে তাদের বিরোদ্ধে মামলা রূজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। যা ইতিপূর্বে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার পরও থামছেনা তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।
সাংবাদিকতো দূরের কথা স্থানীয় প্রশাসনকেও পরোয়া করেনা হোটেল মালিক এস.এম শামীমসহ ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ খদ্দের সংগ্রহের জন্য ও তাদের হোটেলে অবস্থানরত পতিতা মেয়েদের অর্থের যোগান দেওয়ার স্বার্থে টঙ্গী বাজার, আব্দুল্লাহপুর, ষ্টেশনরোডের ফুটওভার ব্রীজসহ টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার গেইটে সকাল বিকাল অনামিকা আবাসিক হোটেলের দৈনিক হাজিরা ভাতায় কর্মরত অপ্রাপ্ত ও প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের দিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে ভিজিটিং কার্ড বিতরন করে আসছে।
ঘটনাটি সাংবাদিকদের নজরে এলে তারা আবাসিক হোটেল গুলোতে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়। ম্যানেজার সাহেব পরিচয় জানতে চাইলে তারা তাদের পরিচয় দেন। বিস্তারিত জানার পর চলে আসেন তারা। বিষয়টি টঙ্গীর অন্যান্য আবাসিক হোটেল মালিক মেনে নিলেও সাংবাদিকদের সহ্য করতে পারেননি অনামিকা হোটেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের পুলিশ সদস্যদেরকেও অনামিকা আবাসিক হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ সদস্য। প্রতিবাদে হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেন আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দিয়ে হোটেল ব্যবসা চালাই।
ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদেরকে তারা বদলীর ভয় দেখিয়ে হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন বেশী বাড়াবাড়ি করলে পরিনতি ভাল হবে না। পরে অনামিকা হোটেল মালিকের নির্দ্দেশে পতিতাদের দালাল ও হোটেল ম্যানেজার মোঃ আরিফুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল এর সাংবাদিকদের বিরোদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে প্রত্যেকের ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে, টঙ্গী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান এসআই মিজানুর রহমান। এতে করে সকল সাংবাদিকদের ভাবমুর্ত্তি নষ্ট করে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল এর সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে এম ভিশন নিউজ টিভি ও দৈনিক একাত্তর প্রতিদিনের চাঁনমিয়া মুন্সি, দৈনিক অগ্নিশিখার নজরুল ইসলাম স্বপন, নাজমুল হাসান কামাল, বিজনেস ফাইলের কবীর নেওয়াজ রাজ, সচেতন প্রতিদিনের লেয়াকত আলী সরকার, মুক্ত মনের আবিদ রোসেল, স্বাধীন বাংলার কিবুল ইসলাম জীবন, বাংলার বর্তার রাসেল মাহমুদ, ভোরের সময়ের মিয়া মুন্সি, সিএনএস এর বিল্লাল হোসেন সাজু, টপনিউজ নেটওয়ার্কের শামীম আলম, আজকের জনবাণীর ফারুক হোসেন, প্রথম ভোরের শফিকুল ইসলাম, এসবি টিভির আলমগীর খোকন, দূর্নিতির সন্ধানের তুহিন ভুইয়া, মিলেনিয়াম টিভির জসিম উদ্দিন, এইচ এম নিউজ বিডি২৪ ডট কম এর দুলাল মিয়া, স্বরেজমিনের স্বপ্নরাজ স্বপন, যোগাযোগ প্রতিদিনের শাহাদত হোসেন ভুইয়া, ইনকিলাবের জুম্মন ইকবাল ফারুক, দৈনিক মুক্তলোকের আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরোও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেন। এতে গাজীপুর সদর টঙ্গী ও উত্তরা এলাকার বেশ কিছু সাংবাদিক, যারা মাঠে ঘাটে রিতিমতো
সংবাদ সংগ্রহ করেন ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে ছোট বড় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। শুধু হোটেল নয় প্রত্যেক সাংবাদিকের অধিকার আছে সকল বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে একটি অসাধু চক্র। সেই সাথে দেশে বিরাজমান গণমাধ্যমকে হেনস্থা ও পত্রিকাসহ টিভি চ্যানেলকে সমাজের চোখে ছোট করার লক্ষ্যে স্বরযন্ত্রমূলক এই অভিযোগ।
এমনকি অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে কোন সাংবাদিকরা তাদের হোটেলের অপকর্মের দিকে নজর না দেয়, নিশ্চিন্তে তারা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে তাই তাদের এই হুমকি দমকি বলে মনে করেন এলাকাবাসী। এলাকা সূত্রে আরোও জানা যায় অন্যান্য হোটেলের চেয়ে সম্পূন্ন আলাদা অনামিকা আবাসিক হোটেল। সব সময়ই যুবক যোবতীদের ভীড় নিচ থেকে উপর পর্যন্ত লেগেই আছে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিষেধ করার পরও দাবরিয়ে বেরাচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাই এলাকাবাসী জানতে চায় অনামিকা হোটেল নামে পতিতালয় মালিকের খুটির জোড় কোথায় ? সেই সাথে স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাবসহ ভ্রাম্যমান আদলতের হস্তক্ষেপ কামনায় অনামিকা আবাসিক হোটেল বন্ধের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।