বাংলাদেশের নতুন নাগরিকদের কাছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণার রাজনীতি বিস্তৃত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন,বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ অভিযোগ করেন।
কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে অসত্য ও অপলাপ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্রে যুক্ত হওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলের নবীন নাগরিকদের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণার রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশের এসব নবীন নাগরিকরা এতদিন হিংসার রাজনীতির বাইরে থাকলেও বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সেখানেও তা বিস্তৃত করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দলের মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা গত কয়েকদিন ধরেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করার ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছেন। সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, সবাই জানে বিএনপির চেয়ারপার্সন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। কতটা অমানবিক হলে এ ধরনের মনগড়া-আজগুবি মন্তব্য করা যেতে পারে। দেশের মানুষ এসব অপরাজনীতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি খালেদা জিয়া ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সরকার কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করতে পারবে না। শুধু রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত করতে পারবে।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, বিএনপি গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করে। জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির সঙ্গে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের লোকেরাই বিগত আন্দোলনে নানা জায়গায় পেট্রোল বোমা, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে তারা ধরাও পড়েছে। সেন্টার ফর ন্যাশনাল স্টাডিজ নামের একটি সংগঠন তাদের প্রকাশনায় এ ব্যাপারে সরকার দলীয়দের সংশ্লিষ্টতার ঘটনাগুলো তুলে ধরেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার নিশ্চুপ রয়েছেন।