ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে ৩জন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মনপুরা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা লিটন হাওলাদারের সাথে ওই ইউনিয়নের ইউ,পি সদস্য ও মনপুরা ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমানত উল্লাহ আলমগীর’র ছোট ভাই যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন’র সাথে লেনদেন সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে সকাল ১০টায় হাতাহাতি হয়।
এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপ শক্তিবৃদ্ধি করে সকাল সাড়ে ১১ টায় দ্বিতীয় দফা লাঠি-সোডা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষে ইউ,পি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার (৪০),অলি(৪৭),নিপুর(৩৫),লিটন হাওলাদার(৩৫), কামরুল(৩০), মমিন(৩৩), সামছুদ্দিন (২৮), আঃ আজিজ(৩২),আলাউদ্দিন মিস্ত্রি(৪৫), ওসমান(৩৫), নোমান(৩০),সামছুদ্দিন(৩০), ইউ,পি সদস্য আমানত উল্লাহ আলমগীর(৪০),জুয়েল(২৮),ইউপি সদস্য মোস্তফা (৩৬),কামরুল(২৫),ইউপি সদস্য রুহুল আমিন(৫০),ইউপি সদস্য মিজান(৩০), আঃ বাসেত(৩৫),বিপ্লব(৩০),বাবুল(২০) ও নাহিদ(২২) সহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য আমানত উল্যাহ আলমগীরের ভাই যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিনের গ্রুপের মোস্তফা মেম্বার,জুয়েল ও কামরুল গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।আহতদের মনপুরা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এস,আই মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি জানান।