স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
বর্তমানে সাবান, শ্যাম্পু এমনকি কাজলেও ভিটামিন আছে এমন বলা হয়। কিন্তু প্রসাধনীর কোনটায় কোন ভিটামিন থাকা দরকার এবং কেন দরকার সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ভিটামিন এ : যেসব প্রসাধনীতে ‘রেটিন এ’ থাকে সেগুলো ত্বকের জন্য ভালো। বয়সজনিত দাগ দূর করতে ও ত্বক টান টান রাখতে রেটিনের জুড়ি নেই। কিন্তু এ কথা মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ভিটামিনের কোনো প্রয়োজন নেই।
ভিটামিন বি : ভিটামিন বি৩ বা নায়াসিন এশিয়ার অধিবাসীদের ত্বকের জন্য দরকারী। ত্বকের রঙ উজ্জ্বল রাখতে নায়াসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন-বি৫ চুল উজ্জ্বল, নরম ও সুন্দর রাখে।
ভিটামিন সি : ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সব সময় আলো থেকে দূরে রাখবেন। কেননা আলোতে ভিটামিন সি তার কার্যকারিতা হারায়।
ভিটামিন ডি : ভিটামিন ডি সোরিয়াসিস রোগে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্বাভাবিক ত্বকে কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ভিটামিন ই : ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সুন্দর ত্বকের জন্য ভিটামিন ই জরুরি। কিন্তু কোনো প্রসাধনে তার পরিমাণ শতকরা ৫ ভাগ হতে হবে।
ভিটামিন এফ : লিনোলিক এসিডকে ভিটামিন এফ বলা হয়। ত্বক কোমল রাখতে ভিটামিন এফ সাহায্য করে।
ভিটামিন এইচ : বায়োটিনকে ভিটামিন এইচ বলে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে পড়ে, চুল ও নখেরও ক্ষতি হয়। কিন্তু সরাসরি বায়োটিন ব্যবহারের ব্যাপারে এখনো গবেষণা চলছে।
ভিটামিন কে : ভিটামিন-কে ব্যথা পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
লেখিকা : সহযোগী অধ্যাপিকা, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
চেম্বার : দি বেস্ট কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ২০৯/২, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফোন ০১৬৮২২০১৪২৭