অলিদুর রহমান অলি, টঙ্গী থেকে।।
টঙ্গীর উত্তর আউচপাড়া সাহাজউদ্দিন রোডে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে এলাকার শান্তি-শৃংখলা রক্ষা কমিটির অফিসে হানা দিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করা হয় এবং অফিসের ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ টাকা, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ও আসবাবপত্র লুটে নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার নাজির আহমেদের মার্কেটে এলাকার শান্তি-শৃংখলা কমিটির অফিস কার্যালয় অবস্থিত। কমিটির সভাপতি সিরাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় তার সাথে সমিতির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত মতবিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজের নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিন, ওয়াজউদ্দিন, নাজু, শাহীন, সোহেল শান্তি-শৃংখলা অফিসের টিনের চালা খুলে অফিসে প্রবেশ করে। পরে মুল দরজার তালা ভেঙ্গে ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ ৭০ হাজার টাকা, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে। এঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছিল।
এবিষয়ে শান্তি-শৃংখলা রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. আজগর আলী বলেন, ‘সিরাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত হয়ে পড়ায় আমরা তাকে বারবার বারন করা সত্ত্বেও সে তার অবস্থান থেকে ফিসে আসেনি। সিরাজ ও অফিসের ক্যাশিয়ার ওয়াজউদ্দিন কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে রীতিমত দুর্ব্যবহার করে আসছিল। সিরাজ তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাথে নিয়ে রাতের আধারে অফিসের মালামাল লুটে নেয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে ফেলে যায়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিরাজ, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘অফিসের মালিক নাজির আহমেদ আমাকে অফিস ছেড়ে দিতে বলায় আমি সবকিছু নিয়ে এসেছি। আর আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার এসআই মো. আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিরাজ তার দলবল নিয়ে অফিসের আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই।