হাইপ তো তিনি আসার আগেই তুলে ফেলেছিলেন! ঢাকার মাটিতে পা ফেলার পর থেকেই তাকে নিয়ে মাতোয়ারা এই শহরের মানুষ। ফলে, শুধু তার ব্যাটিং দেখতেই মিরপুরে জমে গেল দর্শকদের উত্তুঙ্গ আগমন। অথচ, প্রথম দুই ম্যাচে করতে পারলেন মাত্র ৮টি করে রান! তবুও তার নাম যেহেতু ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল, মানুষ ঝড়-দর্শনের আশা ছাড়বে কেন! অবশেষে সেই কাক্সিক্ষত ঝড়ের দেখা মিলল। ৪৭ বলে ৯ ছয় ৬ চারে অপরাজিত ৯২ রান করলেন ক্যারাবিয়ান ‘ব্যাটিং-দানব’। যে কারণে, চিটাগাং ভাইকিংস দুঃখকে সঙ্গী মেনেই ৮ উইকেটের হার দিয়ে শেষ করল টুর্নামেন্টটা!
দুঃখ তো গেইল কিংবা তার ভক্তরাও করতে পারেন। সিএইচভি আর ক’টা রান বেশি করলেই যে গেইলের সেঞ্চুরিটাই হয়ে যায়! খেলার ফলাফল যখন নির্ধারিত হলো, তখনও যে ম্যাচের ৩০টি বল বাকি!
বেশি রান করার ইঙ্গিতই কিš‘ দিয়েছিল ভাইকিংস। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম এদিন থাকলেন পঞ্চদশ খেলোয়াড় হিসেবে। বদলে অধিনায়কত্ব করলেন তিলকারতেœ দিলশান। টসে হেরে ব্যাট করতে নামতে হলো তাকে। এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে নামলেন। যেভাবে দুই ওপেনার শুরু করলেন, তাতে মনে হয়েছিল, সিএইচভি বুঝি অসময়ে জ্বলে উঠল!
পাওয়ার প্লের দারুণ সদ্ব্যবহার করে ৫দশমিক ৫ ওভারে ৫২ রান তোলার পর বিচ্ছিন্ন হলো উদ্বোধনী জুটি। দিলশান ১৮ বলে ২৮ রান করে গেলেন। দুই ওভার পর বিজয়ও গেলেন ওই একই রানে, ২২ বল খেলে। কাকতালীয় হলো, ব্যক্তিগত সংগ্রহের মতো দুই ওপেনারই দুটি করে ছয়-চার মারলেন। তবুও, চিটাগাং ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারল না। পুরো টুর্নামেন্টে মিডল অর্ডার সিএইচভিকে ভুগিয়েছে। কালও ভোগালো। বলার মতো রান আর কারও নেই। উমর আকমলের ৩০ বলে ২৫ রানকে নিশ্চয়ই ‘বলার মতো’ বলা যায় না!
সোহাগ গাজীর কথা আলাদা করে বলতে হয়। জাতীয় দলে ‘ব্রাত্য’ হয়েছেন অনেক দিন হলো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও যদি দশা তা-ই হয়, তাহলে তার মতো প্রতিভার অপচয় ছাড়া কিছু হয় না। সেই গাজী নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বলে নয়, এই অফ স্পিনার যে ফুরিয়ে যাননি সেটা কাল ঠিকই প্রমাণ করে দিলেন।
জবাব দিতে নামা বরিশালের প্রথম ওভারেই ঘটল অঘটন, যাতে সম্পৃক্ত গেইল। গেইলের ডাকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রনি তালুকদার রানআউট হয়ে গেলেন। দিলশান ধাক্কাই দিয়েছিলেন রনিকে। কুমিল্লা ভাইকিংসের ইমরুল কায়েসকে এভাবে ধাক্কা দিয়ে রানআউট করতে গিয়ে দিলশানের কারণে পাঁচ রান পেনাল্টি গুনেছিল চিটাগাং। অথচ, গতকাল তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান রনিকে এক রিপ্লে দেখে রানআউট করে দিলেন! দেখে মনে হলো, তিনি ওই সময়ের ঘটনাটা বোধহয় সরাসরি চোখ দিয়ে দেখেনইনি, অমনোযোগী ছিলেন!
ম্যাচের বাকি অংশটা পুরোটাই গেইল-শো। বরিশাল বুলসের ইনিংসের শুরু থেকেই গেইলকে ঘিরে একটা প্রত্যাশার পারদ তো তৈরি হয়েই ছিল। শুরুতে কিছুটা বুঝেছেন, দেখেছেন। একটা পর্যায়ে খোলস পাল্টে দেখা দিয়েছেন সেই চিরাচরিত গেইল! তাতে, ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়তে থাকলেও, বরিশাল কিš‘ এখনও শীর্ষ দুইয়ে থাকার জোর দাবি জানিয়ে রাখল।
প্রথম দিকে যে নিজের রূপ দেখাননি গেইল, সেটারই ফলস্বরূপ তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১৮টি ডট বল। সিঙ্গেল নিয়েছেন মাত্র ১৪টি। বাকি ১৫ বলে ৭৮ রান। ভাবা যায়!
এমন দিনে ঝড় কার কার ওপর দিয়ে সবচেয়ে বেশি গেল, এটা লেখা বাহুল্য মাত্র। গেইলকে বল করা ভাইকিংসের ৭ বোলারের কারও বিরুদ্ধে তার স্ট্রাইক রেট ১১২.৫০-এর কম নয়। তার পরও, ৮ বলে ৯ রান দেওয়া দিলশান, ৭ বলে ৮ রান দেওয়া ভাট্টি ও ৬ বলে ৮ রান দেওয়া শফিউল নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারেন। শফিউল বোধহয় বিরল ভাগ্যবান, শুধু ১টা চার খেয়েই পার পেয়ে গেছেন!
ইনিংসের শুরুর গেইল ছিলেন এমনথ তিনে নামা মেহেদি মারুফ ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন, তিনি তখন ৮ বলে করেছেন মাত্র ১০ রান। ইনিংস শেষের গেইল এমনথ মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০.২ ওভারে ১০.৬৪ রান রেটে তুললেন ১১০ রান। তাতে তারই অবদান ৮২!
পঞ্চদশ ও শেষ ওভারে বল করতে আসা জীবন মেন্ডিসের ওপর দিয়েই গেল সবচেয়ে বড় ঝড়টা। ৫ বলে ৪টা ছয়। মোট ২৫ রান। ওভারে ২৬ রান দিলেন মেন্ডিস। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি সিঙ্গেল দিয়েছেন এই যা রক্ষা! বাকি চার বলে মেন্ডিসের কেমন লাগছিল সেটা বোধহয় না বললেও চলে!
অবশ্য যাদের সবচেয়ে ভালো লাগার কথা, সেই দর্শকরা ঠিকই বিনোদিত হলেন। গেইলের সিংহভাগ ছয়ই যে গিয়ে আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে দর্শকদের হাতে! এই না হলে গেইলঝড়! ম্যাচপ্রতিহাইপ তো তিনি আসার আগেই তুলে ফেলেছিলেন! ঢাকার মাটিতে পা ফেলার পর থেকেই তাকে নিয়ে মাতোয়ারা এই শহরের মানুষ। ফলে, শুধু তার ব্যাটিং দেখতেই মিরপুরে জমে গেল দর্শকদের উত্তুঙ্গ আগমন। অথচ, প্রথম দুই ম্যাচে করতে পারলেন মাত্র ৮টি করে রান! তবুও তার নাম যেহেতু ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল, মানুষ ঝড়-দর্শনের আশা ছাড়বে কেন! অবশেষে সেই কাক্সিক্ষত ঝড়ের দেখা মিলল। ৪৭ বলে ৯ ছয় ৬ চারে অপরাজিত ৯২ রান করলেন ক্যারাবিয়ান ‘ব্যাটিং-দানব’। যে কারণে, চিটাগাং ভাইকিংস দুঃখকে সঙ্গী মেনেই ৮ উইকেটের হার দিয়ে শেষ করল টুর্নামেন্টটা!
দুঃখ তো গেইল কিংবা তার ভক্তরাও করতে পারেন। সিএইচভি আর ক’টা রান বেশি করলেই যে গেইলের সেঞ্চুরিটাই হয়ে যায়! খেলার ফলাফল যখন নির্ধারিত হলো, তখনও যে ম্যাচের ৩০টি বল বাকি!
বেশি রান করার ইঙ্গিতই কিš‘ দিয়েছিল ভাইকিংস। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম এদিন থাকলেন পঞ্চদশ খেলোয়াড় হিসেবে। বদলে অধিনায়কত্ব করলেন তিলকারতেœ দিলশান। টসে হেরে ব্যাট করতে নামতে হলো তাকে। এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে নামলেন। যেভাবে দুই ওপেনার শুরু করলেন, তাতে মনে হয়েছিল, সিএইচভি বুঝি অসময়ে জ্বলে উঠল!
পাওয়ার প্লের দারুণ সদ্ব্যবহার করে ৫দশমিক ৫ ওভারে ৫২ রান তোলার পর বিচ্ছিন্ন হলো উদ্বোধনী জুটি। দিলশান ১৮ বলে ২৮ রান করে গেলেন। দুই ওভার পর বিজয়ও গেলেন ওই একই রানে, ২২ বল খেলে। কাকতালীয় হলো, ব্যক্তিগত সংগ্রহের মতো দুই ওপেনারই দুটি করে ছয়-চার মারলেন। তবুও, চিটাগাং ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারল না। পুরো টুর্নামেন্টে মিডল অর্ডার সিএইচভিকে ভুগিয়েছে। কালও ভোগালো। বলার মতো রান আর কারও নেই। উমর আকমলের ৩০ বলে ২৫ রানকে নিশ্চয়ই ‘বলার মতো’ বলা যায় না!
সোহাগ গাজীর কথা আলাদা করে বলতে হয়। জাতীয় দলে ‘ব্রাত্য’ হয়েছেন অনেক দিন হলো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও যদি দশা তা-ই হয়, তাহলে তার মতো প্রতিভার অপচয় ছাড়া কিছু হয় না। সেই গাজী নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বলে নয়, এই অফ স্পিনার যে ফুরিয়ে যাননি সেটা কাল ঠিকই প্রমাণ করে দিলেন।
জবাব দিতে নামা বরিশালের প্রথম ওভারেই ঘটল অঘটন, যাতে সম্পৃক্ত গেইল। গেইলের ডাকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রনি তালুকদার রানআউট হয়ে গেলেন। দিলশান ধাক্কাই দিয়েছিলেন রনিকে। কুমিল্লা ভাইকিংসের ইমরুল কায়েসকে এভাবে ধাক্কা দিয়ে রানআউট করতে গিয়ে দিলশানের কারণে পাঁচ রান পেনাল্টি গুনেছিল চিটাগাং। অথচ, গতকাল তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান রনিকে এক রিপ্লে দেখে রানআউট করে দিলেন! দেখে মনে হলো, তিনি ওই সময়ের ঘটনাটা বোধহয় সরাসরি চোখ দিয়ে দেখেনইনি, অমনোযোগী ছিলেন!
ম্যাচের বাকি অংশটা পুরোটাই গেইল-শো। বরিশাল বুলসের ইনিংসের শুরু থেকেই গেইলকে ঘিরে একটা প্রত্যাশার পারদ তো তৈরি হয়েই ছিল। শুরুতে কিছুটা বুঝেছেন, দেখেছেন। একটা পর্যায়ে খোলস পাল্টে দেখা দিয়েছেন সেই চিরাচরিত গেইল! তাতে, ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়তে থাকলেও, বরিশাল কিš‘ এখনও শীর্ষ দুইয়ে থাকার জোর দাবি জানিয়ে রাখল।
প্রথম দিকে যে নিজের রূপ দেখাননি গেইল, সেটারই ফলস্বরূপ তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১৮টি ডট বল। সিঙ্গেল নিয়েছেন মাত্র ১৪টি। বাকি ১৫ বলে ৭৮ রান। ভাবা যায়!
এমন দিনে ঝড় কার কার ওপর দিয়ে সবচেয়ে বেশি গেল, এটা লেখা বাহুল্য মাত্র। গেইলকে বল করা ভাইকিংসের ৭ বোলারের কারও বিরুদ্ধে তার স্ট্রাইক রেট ১১২.৫০-এর কম নয়। তার পরও, ৮ বলে ৯ রান দেওয়া দিলশান, ৭ বলে ৮ রান দেওয়া ভাট্টি ও ৬ বলে ৮ রান দেওয়া শফিউল নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারেন। শফিউল বোধহয় বিরল ভাগ্যবান, শুধু ১টা চার খেয়েই পার পেয়ে গেছেন!
ইনিংসের শুরুর গেইল ছিলেন এমনথ তিনে নামা মেহেদি মারুফ ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন, তিনি তখন ৮ বলে করেছেন মাত্র ১০ রান। ইনিংস শেষের গেইল এমনথ মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০.২ ওভারে ১০.৬৪ রান রেটে তুললেন ১১০ রান। তাতে তারই অবদান ৮২!
পঞ্চদশ ও শেষ ওভারে বল করতে আসা জীবন মেন্ডিসের ওপর দিয়েই গেল সবচেয়ে বড় ঝড়টা। ৫ বলে ৪টা ছয়। মোট ২৫ রান। ওভারে ২৬ রান দিলেন মেন্ডিস। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি সিঙ্গেল দিয়েছেন এই যা রক্ষা! বাকি চার বলে মেন্ডিসের কেমন লাগছিল সেটা বোধহয় না বললেও চলে!
অবশ্য যাদের সবচেয়ে ভালো লাগার কথা, সেই দর্শকরা ঠিকই বিনোদিত হলেন। গেইলের সিংহভাগ ছয়ই যে গিয়ে আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে দর্শকদের হাতে! এই না হলে গেইলঝড়! ম্যাচপ্র প্রায় ২৮ লাখ টাকার প্রতিদান তো এমনই হতে হয়। বিপিএলে দর্শকদের স্রোত এবার ঠেকাবে কে!