এম,এ কাশেম গাজীপুর থেকে।।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রাপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সামনের শতাধিক বাড়ি ঘর সহ দোকান পাঠ উচ্ছেদ করা হয়েছে ।
জানা গেছে সোমবার বার সকাল ১১ টায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও দুই শতাদিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মিলে ম্যাজিস্টেট জনাব শরিফুল ইসলামের নেতৃত্তে সাফারি পার্কের রাস্তার দুই পাশে গড়ে ওঠা একাধিক দোকান পাঠ ও পুরাতন বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে উচ্ছেদ করা হয়েছে । এই ব্যপারে র্নিবাহী ম্যাজিস্টিট শরিফুল ইসলাম জানান পার্কের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল দোকান ও বাড়ির মালিকদের আগে নোটিশ দিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে দোকান ও বাড়ির মালিকেরা জানান আমাদেরকে কোন ধরনের নোটিশ বা নিষেজ্ঞা ইতিপূর্বে দেয়া হয়নি , অন্যায় ভাবে আমাদের দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে, এই সময় শত শত নারীরা নিজের বেঁচে থাকার জন্য এক মাত্র বাড়ি ঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায় ।
দিন মজুর মহিলা ফেরদৌসি আরা বেগম জানান, সারা দিন পরের বাড়িতে কাজ করে নিজের সংসার চালায় আমার স্বামী নাই এবং বাচ্চাদের নিয়ে এই কুঁড়ে ঘরে থাকি আজ হটাৎ বন বিভাগের লোকজন পুলিশ আনসারেরা এসে আমার বসত ঘরটি ভেঙ্গে চুরমার করে দেন এই দেশে আমাদের বিচার করবে না কেহ আল্লাহ ছাড়া আল্লাহ তুমি এদের সঠিক বিচার করবা বলে কাঁদতে থাকেন ।এই রকম অনেকের চোখের পানি জলে ভেসে হারিয়ে গেল সারাজিবনের সঞ্চয় করা সেই শেষ সম্বল কুঁড়ে ঘর ।
এই ব্যপারে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম ইউছুপ জানান বন বিভাগের জমির উপরে নির্মিত ছিল এই রকম দোকান পাঠ ভাঙচুর করছে সেটা কোন সমস্যা নাই কারণ বনের জমিতে স্হাপনা থাকলে ও উচ্ছেদ করবে । কিন্তু আমার এলাকায় বন বিভাগের জমি ছিলনা এই রকম ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে অনেকের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেন। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করতে পারি নাই কারণ ভ্রাম্যমান আদালতের সামনে প্রতিবাদ করলে সমস্যা হবে তাই এগিয়ে আসতে সাহস করি নাই ।
উচ্ছেদ অভিযানের নামে যে সব ব্যক্তি ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন এদের মধ্যে রয়েছেন মনির হোসেন ,মালেকা বানু,আলমাছ, ফরিদ ,আলামিন,আলেখা ,মিলন,রুবেল,সালামত,করিম,নুরুল আমিন ,আবু সায়েদ সহ অনেকে এখন নিজের বসত বাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত ও অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে জানান।
এদের অনেকে নিজের বাড়ি চোখের সামনে ভাঙ্গতে দেখে এগিয়ে আসলে তাদের পুলিশ গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখেন বলে জানা গেছে । এই ব্যপারে সাফারি পার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তপন কান্তি দে জানান আমাদের বন বিভাগের নির্বাহী আদেশ ও সাফারি পার্কের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বন বিভাগের জমির উপরে নির্মিত বাড়ি ঘর ও দোকান পাঠ গুলি ভাঙচুর করা হয়ছে এবং আমরা এই ব্যপারে তাদের আগেই নোটিশ করে ও মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হইছিল ।