এম,এ কাশমে শ্রীপুর থেকে ।।
হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি, কুশল বিনিময় আর মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হয়েছে। সোমবার উৎসবের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায়।
সরেজমিন পৌর শহরের বিভন্ন এলাকায় দেখা গেছে, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা হাসিমুখে প্রতীকের কথা প্রচার দিয়ে কর্মী সমর্থকদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। কেউ কেউ প্রতীক পেয়ে সন্তষ্টি হিসেবে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন।
শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মো: নূরুল হুদা আকন্দ তারা মিয়া। তার প্রতীক গাজর। তিনি কাঙ্খিত প্রতীক পেয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন এবং ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আগে থেকেই সাধারণ মানুষের সেবা করে আসছেন। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রটা বড় হয়ে উঠে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের আগ্রহ, অনুরোধ এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রয়াস সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দাবী করেন, সমাজের কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং আত্ত্বকলহ রয়েছে। জনপ্রতিনিধি বা সরকারের প্রতিনিধি না হয়ে এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই দুর্নীতি এবং আতœকলহসহ নানারকম অসঙ্গতি প্রতিরোধে নিজেকে সক্রিয় করে তুলতে চান। শ্রীপুরের কেওয়া আকন্দ বাড়ীর মতো একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। জনপ্রতিনিধি না হয়েও তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাদির আকন্দ ছিলেন মানুষ সেবার অনন্য মডেল। ১৯৬৫ সনে তার বাবা বৃটিশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। পরে ১৯৬৯ সনের গনঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সনের ৪ এপ্রিল টঙ্গীতে পাক বাহিনীর হাতে শহীদ হন। তার লাশটি পর্যন্ত পাক সেনারা দাফনের জন্য রেখে যায়নি। সেই মডেল বাবার তৃতীয় ছেলে দু:খী, পীড়িত, অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে আতœনিয়োগ করতে চান। তিনি এজন্য শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সকল ভোটারের ভোট প্রার্থনা এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বাদ জোহর তার বাড়িতে স্বজনদের নিয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। এসময় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শেখ মো: শামসুল হক বলেন তারা মিয়ার মতো একজন ব্যাক্তির জনদরদী আচরন এলাকার মানুষের সকলেরই জানা। আমরা তার সাথে রয়েছি এবং থাকব। জালাল উদ্দিন পাঠান বলেন, আমরা তারা মিয়ার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করব। তিনি একজন জনদরদী মানুষ হিসেবে ইতোমধ্যেই স্বীকৃত। মো: রিয়াজ উদ্দিন পাঠান বলেন, আমরা প্রত্যেকে একজন তারা মিয়া হয়ে কাজ করব। নির্বাচনের দিন ভোট প্রদানের মাধ্যমে আমরা নূরুল হুদা আকন্দের তথা গাজর প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনব।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামান জানান, মেয়র পদে আওয়ামীলীগের আনিছুর রহমান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত শহীদুল্লাহ শহীদ (ধানের শীষ), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান উল্লাহ (জগ) এবং জাসদ মনোনীত আবুল কাশেম (মশাল) সহ প্রতীকে চূড়ান্ত হয়েছেন। এছড়া ৪৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১২ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।