৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ২০১৪ সালের হিসাবে গড় আয়ু ৭০ বছর সাত মাস। ২০১৩ সালে ছিল ৭০ বছর চার মাস। গড় আয়ু প্রতিবছরই বাড়ছে। আয়ু বৃদ্ধির পাশাপাশি সাক্ষরতা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হারসহ অন্যান্য সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হয়েছে। তবে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (এমএসভিএসবি) প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আš-র্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
বিবিএসের মহাপরিচালক আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আযম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যব¯’াপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং ইউনিসেফের কর্মকর্তা অনুরাধা নারায়ণ। মূল প্রবন্ধ উপ¯’াপন করেন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক।
বিবিএসের হিসাবে, মেয়েদের এখন অপেক্ষাকৃত কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। ২০১২ সালে যেখানে নারীর বিয়ের গড় বয়স ছিল ২০ বছর এক মাস, ২০১৪ সালে এসে এ গড় বয়স সাড়ে ১৮ বছরে নেমেছে। তবে পুরুষরা আগের চেয়ে বেশি বয়সে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।
ড. শামসুল আলম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে দেশের স্বা¯’্য ব্যব¯’ার উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তা ছাড়া সুপেয় পানিপ্রাপ্তির হারও বেড়েছে। আগে যেসব প্রাণঘাতী রোগ কিংবা মহামারী দেখা দিত, এখন তার বালাই নেই। এসব কারণেই মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।
এদিকে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০১৪ সালে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বেড়েছে। এর আগের বছর এ হারই ছিল।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার গত পাঁচ বছরে বেড়েছে। জাতীয়ভাবে ২০১৪ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ২০ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সাক্ষরতার হার জাতীয়ভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশে। ২০১৩ সালে ছিল ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
এক বছরের নিচে শিশুমৃত্যু ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে এক হাজারে ৩০ জনে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩১ জন। মাতৃমৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০১৩ সালে ছিল ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮০ শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে কেরোসিন ব্যবহারকারী কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ।