৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিক ও প্রতিনিধিদের ডেকে সরকারের মন্ত্রীরা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘‘মিডিয়ার ওপর নতুন করে সেন্সরশিপ আরোপ করা হচ্ছে, যাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা জানতে না পারে। টেলিভিশন চ্যানেল মালিক ও প্রতিনিধিদের ডেকে মন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। মালিকদের ডেকে পরামর্শের নামে মন্ত্রীরা ভদ্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।” বেগম খালেদা জিয়া গণমাধ্যমের ওপর সরকারের এ রকম হুঁশিয়ারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে টেলিভিশন স্টেশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্য। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করে তা মানুষের সামনে তুলে ধরতে বৈঠকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ‘সহযোগিতা’ চাওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ গুলশানের কার্যালয়ে যান। সেখানে ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। ১৫ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত সোমবার গভীর রাতে পুলিশি পাহারা ও বেষ্টনী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের শওকত মাহমুদ বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে সুস্থ আছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি অটল রয়েছেন। বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ জানান, অবরোধ চলাকালে খালেদা জিয়া ওই কার্যাশলয়েই অবস্থান করবেন।
কার্যালয়ে খালেদার জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।