রোববার বাণী অর্চনা, বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রীসরস্বতী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত।
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানাবেন তারা। সনাতন ধর্মালম্বিদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ আবহমান কাল থেকে এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। পারস্পরিক এই সম্প্রীতি সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে পঞ্চমী তিথি সকাল থেকে শুরু হওয়ায় দেশের কোন কোন স্থানে আজ শনিবার থেকেই সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর তিথিগত বাধ্যবাধকতার কারেণে রোববার সকাল আটটার মধ্যেই পূজা শেষ হবে। এ বছর প্রথমবারে মত জাতীয় সংসদে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে মহাসাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০টির বেশী বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল চত্বর জুড়ে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমভিত্তিক প্রতিমা স্থাপন ও মন্ডপ নির্মাণ করেছে।
জগন্নাথ হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই মহোৎসবের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে হলপুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি বিশাল অবয়বের একটি প্রতিমা। এটি বাংলার লোকঐতিহ্যের ‘ট্যাপা পুতুলের’ আদলে তৈরি করা হয়েছে।
দু’দিনব্যাপী পূজা উৎসবের প্রথম দিন কাল সকাল পৌনে ৯টায় শুরু হবে পূজার্চনা এবং ১০টা থেকে শুরু হবে অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হবে আরতি অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।