৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
স্কাউট প্রশিক্ষক ও ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালকসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা জজ কে জি মোস্তফার আদালতে আজ বুধবার মামলাটি করেন ওই শিক্ষিকা। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার মো. রফিক হাসনাইন সাংবাদিকদের এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে রংপুর জেলা স্কাউটের সহকারী পরিচালক লিয়াকত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাষক এলাহী ফারুককে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিয়াকত প্রথমে সখ্য গড়ে তোলেন এবং পরে গত বছরের ৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণের কথা বলে কৌশলে ঢাকা থেকে রংপুরে তাঁর নিজের বাসায় নিয়ে এসে তাঁকে (শিক্ষিকা) ধর্ষণ করেন। এলাহী ফারুক ঘটনাটি ভিডিও করেন এবং পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি নিজেও ধর্ষণের অপচেষ্টা চালান। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর রংপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর অভিযোগটি মামলায় নথিভুক্ত করা হয়নি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকা নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে আজ মামলাটি করেন।
এ ব্যাপারে লিয়াকত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনটিও ছিল বন্ধ। তবে এলাহী ফারুক দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে জড়ানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ‘এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো নারী অভিযোগ করেননি।’
পিবিআই রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, ‘আদালতের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কাগজ এখনো আমাদের কাছে আসেনি।
(সূত্র-প্রথম আলো।)