এম এ কাশেম ।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। এবার প্রথম পর্বে অংশ নেবে ঢাকার একাংশ ও ১৬টি জেলার তাবলিগ কর্মীরা।
১০ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাত শেষে চার দিন বিরতির পর ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপেও অংশ নেবে আরও ১৬টি জেলার তাবলিগ কর্মীরা। ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে বিশ্ব ইজতেমা। এবারে বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম ধাপে ১৬টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি এবং পঞ্চগড়।
১৯৬৭ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব ইজতেমা। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীর বিভিন্ন মৌজায় বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১৬০ একর ভূমি বরাদ্দ দেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে ইজতেমাস্থলের রাস্তাঘাট, অসমতল ভূমি সমতলকরণ, ৮ হাজার পাকা শৌচাগার, পাকা গোসলখানা, ওজুুখানা, বিদেশি মুসল্লিদের জন্য পয়ঃপ্রণালি, রান্নাবান্না, থাকার জন্য স্থায়ী পাকা টিনসেড ঘর নির্মাণ ইত্যাদির আধুনিক ব্যবস্থা, ইজতেমা সড়ক নির্মাণ, ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ ও অন্যান্য উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাহিদ আহসান রাসেল ইজতেমার সার্বিক উন্নয়নে তদারকি করছেন।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরে। বিস্তৃত ইজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কলকারখানার শ্রমিক-মালিকসহ বিভিন্ন পেশার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্ব ইজতেমার মাঠে প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন। ময়দানে মুসল্লিদের কাতারবদ্ধ হওয়ার জন্যে পুরো মাঠে দাগ কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের স্থানও (খিত্তা) নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতির কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা তাবলিগের মুরব্বি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সব কাজ করা হচ্ছে মোশাআরার (পরামর্শ) মাধ্যমে। বিদ্যুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বিদেশি মেহমানদের জন্য ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিম পাশে বিশেষ কামরা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের তুরাগ নদ পারাপারের জন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের সদস্যরা তুরাগ নদের ৯টি স্থানে ভাসমান সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টঙ্গী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ইজতেমা মাঠে স্থাপিত উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পাকা দালানে প্রায় ৬ হাজারের মতো টয়লেট ইউনিট রয়েছে। এদের মধ্যে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত অজু-গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে।
ডেসকো কর্তৃপক্ষ জানান, ইজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সব প্রস্তুতি রয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হবে, যাতে যেকোন একটি গ্রিড অকেজো হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘরিত না হয়। ইজতেমা এলাকায় ৪টি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর এবং ৫টি ট্রলি-মাউন্টেড ট্রান্সফরমারও সংরক্ষণ করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গীর স্টেশন অফিসার মোর্শেদ আলম জানান, ইজতেমাস্থলে তাদের একটি কন্ট্রোল রুমও স্থপন করা হয়েছে। যেখানে সার্বক্ষণিক কর্মকর্তাসহ ফায়ারম্যানরা থাকবেন। ময়দানের প্রতি খিত্তায় ফায়ার এস্টিংগুইসারসহ ফায়ারম্যান, গুদাম ঘর ও বিদেশি মেহমানখানা এলাকায় ৩টি পানিবাহী গাড়ি, ৩ সদস্যের ডুবুরি ইউনিট, ১টি স্ট্যান্ডবাই লাইটিং ইউনিট এবং ৫টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। তিনি আরও জানান, ইজতেমা মাঠের ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণে তাদের উদ্যোগে ইজতেমা মাঠের আশেপাশের এলাকায় পানি ছিটানো হবে।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পারভেজ আলম জানান, তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মেডিকেল অফিসারদের তালিকা ও ডিউটি রোস্টার করা হয়েছে। মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে মন্নু গেট, এটলাস গেট, বাটা কারাখানার গেট ও টঙ্গী হাসপাতাল মাঠসহ ৬টি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এখানে হৃদরোগ, অ্যাজমা, ট্রমা, বার্ন, চক্ষু এবং ওআরটি কর্নারসহ বিভিন্ন ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দেবেন। রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাঃ
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ৬ জানুয়ারী বুধবার থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃহত্তর জেলাগুলোর ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ০৪ জানুয়ারী সোমবার গাজীপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. নূরুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ জানুয়ারী ও ১৭ জানুয়ারী আখেরি মোনাজাতের দিন সকাল ৬টা থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ-টঙ্গী মহাসড়কের মাঝুখান ব্রীজ থেকে স্টেশনরোড ওভারব্রীজ পর্যন্ত সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। টঙ্গীর কামারপাড়া ব্রীজ থেকে মুন্নু টেক্সটাইল মিল গেট পর্যন্ত সড়ক পথেও থাকবে একই নির্দেশনা।
এদিকে, পন্টুন ব্রীজ নির্মাণ ও মুসুল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে কামারপাড়া ব্রীজ থেকে টঙ্গী ব্রীজ পর্যন্ত তুরাগ নদের সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল নোঙ্গর করা ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ১৭ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে নৌ-যানগুলো টঙ্গী ব্রীজের পূর্ব পাশে এবং কামারপাড়া সেতুর উত্তর পাশে নোঙ্গর করতে পারবে।
গাড়ি পার্কিংঃ
ইজতেমা চলাকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১০ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে আগত মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য মহাসড়ক পরিহার করে টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল কম্পাউন্ড, মেঘনা টেক্সটাইল মিলের পাশে রাস্তার উভয় পাশে শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে টিআইসি মাঠ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, চান্দনা চৌরাস্তা হাইস্কুল মাঠ, তেলিপাড়া ট্রাকস্ট্যান্ড এবং নরসিংদী-কালীগঞ্জ হয়ে আগত মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহন টঙ্গীর কে-টু ও নেভী সিগারেট কারখানা সংলগ্ন খোলা স্থান ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আলম জানান, ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬টা থেকে উল্লেখিত সড়ক পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর জেলাগুলো থেকে ঢাকাগামী সকল যানবাহন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী হয়ে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের পরিবর্তে চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর-চন্দ্রা, বাইপাইল, নবীনগর, আমিনবাজার হয়ে চলাচল করবে।
ইজতেমা চলাকালে নামাজের সময় তুরাগ নদের পশ্চিম পাড়ে ইমামের সামনে না দাঁড়িয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় দেশি-বিদেশি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৬টি জেলার মুসুল্লিরা অংশ নেবেন। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবেন ১৬টি জেলার মুসুল্লিরা।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা সদরের নূরল ইসলাম ও আব্দুল মাবুদ বলেন, তাবলীগ জামাতের সকলেই ধর্মীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার চেষ্টা করেন। এবছর দেশের ৩২টি জেলার মুসল্লীরা দু’পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণের ঘোষণাটি এক বছর আগেই পেয়েছেন। কারা আগে করল কারা করতে পারলনা এটি এখানে মুখ্য নয়। মুসলিম উম্মাহর কথা বিবেচনা করে দুই বছরে সারাদেশের মুসল্লীরা জমায়েতে অংশ নিতে পারবে এটিই বড় কথা। এতে তাবলীগ জামাতের কেউ মনক্ষুন্ন বা অনুযোগ নেই।
বিশ্ব ইজতেমায় চলবে ২৮টি বিশেষ ট্রেনঃ
৮ জানুয়ারি থেকে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২৮টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য অতিরিক্ত ২০টি কোচ সংযোজন করা হবে। প্রয়োজনে কোচ আরো বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে দেড় লাখেরও বেশি যাত্রী বহন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ তথ্য জানান। আগামী ৮-১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৫-১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আলম জানান, দুই পর্বের ইজতেমার প্রথম পর্বের পথম দিন শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা দু’টি ‘জুম্মা স্পেশাল’ আখেরি মোনাজাতের আগের দু’দিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে দু’টি করে চারটি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে। আখেরি মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী ১টি, আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা ৭টি, টঙ্গী-ঢাকা ৭টি, টঙ্গী-লাকসাম ১টি, টঙ্গী-আখাউড়া দু’টি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ ৪টি, মোট ২১টি আখেরি মোনাজাত স্পেশাল ট্রেন থাকবে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে সুবর্ণ এক্র্যপ্রেস, তিস্তা এক্র্যপ্রেস, কালনী এক্র্যপ্রেস, মহুয়া এক্র্যপ্রেস, তুরাগ এক্র্যপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার ও ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার আখেরি মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে। ১০ ও ১৭ জানুয়ারী রোববার মহানগর প্রভাতী অথবা গোধুলী, ১১ ও ১৮ জানুয়ারী সোমবার তিস্তা এক্র্যপ্রেস এবং ৮ ও ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার সূবর্ণ এক্র্যপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিন চালু রাখা হবে। এ সময় সাধারণ যাত্রীর সঙ্গে অতিরিক্ত দেড় লাখ যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থার কথা মন্ত্রী জানান বলে স্বীকার করেন জেলা প্রশাসক। ইজতেমায় ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সব স্টেশনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব নিখিল রঞ্জন রায় ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।