শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে বসে সংবাদপত্র পড়ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হঠাৎ করেই কার্যালয়ে এলেন তার দুই ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ ও কানিজ ফাতেমা। খালেদা জিয়ার জন্য তারা নিয়ে আসেন সেই মর্মান্তিক খবর। দুই ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর।
নির্বাক হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খালেদা জিয়া। কান্নায় তিনি কোন কথা বলতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে তিনি তাঁর রুমে দরজা বন্ধ করে নিরবে কাঁদতে থাকেন। খবর শুনে দলের নেতাকর্মীরাও খালেদা জিয়া ও তাঁর পবিবারের সদস্যদের মধ্যে যারাই আছেন তাদেরকে সমবেদনা জানাতে গুলশান কার্যালয়ে ভিড় করতে থাকেন।
পুত্রশোকে কাতর বেগম খালেদা জিয়া বিকালে কারো সঙ্গেই দেখা দেননি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান খবর পেয়ে দ্রুত গুলশানের কার্যালয়ে ছুটে যান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়া কারো সঙ্গে দেখা করছেন না। তিনি সাড়ে চারটার দিকে বের হয়ে যান। তবে তাঁর সঙ্গে খালেদার সাক্ষাৎ হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস রাতে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। কোকোর শোকে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেলেও প্রধানমন্ত্রী দেখা না করেই ফিরে যান।
খালেদার কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ছেলে হারানোর বেদনায় একজন মা হিসেবে তিনি কতোটা ভেঙে পড়েছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২ টায় বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদে বেগম জিয়াসহ কেউ চোখে জ্বল ধরে রাখতে পারেননি।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যু সংবাদ শুনে কেঁদে ফেলেন এবং তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।