৫২অর্থনীতি ডেস্ক ।।
৪১টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭৭ হাজার বেল কাঁচা পাট রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়টি।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনের বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের ৩ নভেম্বর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মন্ত্রণালয়। এর পরে নির্দেশনাটি শিথিল করে বলে, কাঁচা পাট চারটি প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা যাবে। অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং, মেশিন কাট জুট (১০-১২ মিলিমিটার), জুট সিলভার ও জুট টো প্রক্রিয়ায় কাঁচা পাট রপ্তানিযোগ্য।
যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কাঁচা পাট রপ্তানির অনুমোদন পেল সেগুলো গত বছরের ৩ নভেম্বরের আগেই ঋণপত্র খুলেছিল। ২৫১টি ঋণপত্রের বিপরীতেই ২ লাখ ৭৭ হাজার বেল বা ৫ কোটি ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ কেজি কাঁচা পাট রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার।
বেশির ভাগ পাটই রপ্তানি হবে ভারতে। এ ছাড়া কাঁচা পাট যাবে পাকিস্তান, জাপান, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম, জার্মানি, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, ব্রাজিল, এল সালভাদর, আমেরিকা, রাশিয়া ও সুইজারল্যান্ডে। সব মিলিয়ে রপ্তানির জন্য অনুমতি পাওয়া ৪১ প্রতিষ্ঠানের ২৫১টি ঋণপত্রের মধ্যে ভারতের ১০৮টি, পাকিস্তানের ৪৭ ও অন্য দেশের ৯৬টি।
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৫% বৃদ্ধি: চলতি বছর দেশে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ বেল নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। গত বছর ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার বেল পাট উৎপাদিত হয়। ১৮২.২৫ কেজিতে হয় এক বেল।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাট উৎপাদন বৃদ্ধিবিষয়ক এক সভায় এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান হুমায়ূন খালেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নের জন্য দেশের অভ্যন্তরে পাটের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বছরে ৬৯ কোটি বস্তার প্রয়োজন হবে। এই পরিমাণ বস্তা তৈরিতে ২০-২২ লাখ বেল কাঁচা পাটের প্রয়োজন হবে।
(সূত্র-প্রথম আলো।)