৫২ মফস্কল ডেস্ক।।
শ্রীপুরে পোশাক কারখানার তরুণী শ্রমিককে (২৫) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে এক নরসুন্দর। ধর্ষীতাকে উদ্ধারকালে ধর্ষক নরসুন্দর ফুটন্ত ভাতের মাড় ঢেলে ওই তরুণীর শরীর পুড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক সাহাব উদ্দিন ও তার তিন সহযোগীকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার রাত ১০টায় শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- মাধখলা গ্রামের ধর্ষক সাহাব উদ্দিন (৫০), একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মকবুল হোসেন (২৫), পাশের বৈরাগীরচালা গ্রামের সফর আলীর ছেলে নুরু মিয়া (৬০) এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খয়রা গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে বাবুলুর রহমান (৩৫)। নির্যাতিত তরুণী ওই গ্রামের দরিদ্র রিকশাচালকের একমাত্র মেয়ে। তিনি পাশের বৈরাগীরচালা এলাকার আনোয়ারা মান্নান কারখানার শ্রমিক।
ধর্ষক সাহাব উদ্দিন (৫০)। তার বাবার নাম জানা যায়নি। সে নরসুন্দর বলে জানা গেছে। তরুণীর বাবা জানান, সোমবার তাঁর বাবা রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বিকালে তাঁর মা প্রতিবেশীর বাড়ি যান। ওই সুযোগে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সাহাব উদ্দিন তার তিন সহযোগীকে নিয়ে ঘরে ঢুকে তার মুখ বেঁধে ফেলে। তার বাড়ি থেকে সাহাব উদ্দিনের বাড়ি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরে। এরপর তাকে তুলে নিয়ে সাহাব উদ্দিনের বাড়ির একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে।
ওই ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে সাহাব উদ্দিন। পরে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধার মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে জানতে পারেন তার মেয়েকে আটকে রেখেছে সাহাব উদ্দিন। নির্যাতিত তরুণীর মা জানান, তার মেয়েকে উদ্ধারকালে সাহাব উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে জ্বলন্ত চুলা থেকে ফুটন্ত মাড়সহ ভাতভর্তি হাঁড়ি তুলে এনে তার মেয়ের পিঠে ঢেলে দেয়। এতে তার মেয়ের ঘাড় ও পিঠসহ বাঁ পায়ের কিছু অংশ দগ্ধ হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তরুণীকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ধর্ষণে সহযোগিতা ও দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।