৫২ আইন আদালত ডেস্ক।।
পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী মামলা করলে তা গ্রহণে মোহাম্মদপুর থানা বা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, যেহেতু নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি নিজে আবেদন করেননি, তাই এখানে জনস্বার্থে রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তিনি যদি থানা বা আদালতে মামলা করেন, সে মামলা গ্রহণ করতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে মামলা নিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, ২১ জানুয়ারি তা স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ওই সময় বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
যাতে এর ফলে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়, কয়েকটি রাজনৈতিক দল যেন বিশৃঙ্খলা করতে পারে, আর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করার যুক্তি দেখিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে গোলাম রাব্বীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেয়নি। কিন্তু ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। ওই তদন্তে পুলিশ সদস্য দোষী প্রমাণিত হয়েছেন, তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ এসব তথ্য গোপন করে ১৮ জানুয়ারি রিট আবেদন করা হয়েছে। মাহবুবে আলম আরও বলেন, রিট আবেদনটি গোলাম রাব্বী নিজে করেননি, অন্য লোকেরা করেছে। একমাত্র যদি ভুক্তভোগী মারা না যান, তাহলে তাঁরই রিট আবেদন করার কথা। এখানে আবেদনকারীর লোকাস স্টান্ডি (আবেদনের অধিকার) নেই। আর পুলিশ যদি মামলা নিতে না চায়, তাহলে আবেদনকারী নিম্ন আদালতে যেতে পারেন।
৯ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে মাদকসেবী বানানোর ভয় দেখিয়ে এসআই মাসুদ শিকদার অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। ওই সময় রাব্বীকে নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাব্বী। ২০ জানুয়ারি তিনি ছাড়া পান। ঘটনার পর ১১ জানুয়ারি পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন রাব্বী। ওই লিখিত অভিযোগটিই মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।