৫২ তথ্য প্রযু্ক্তি ডেস্ক।।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। শুধু আয়ই করেন না তিনি, দাতব্য কার্যক্রমেও তার অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এ জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। উন্নয়নশীল বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে এই সংস্থাটি। এদিক থেকে বিল অ্যান্ড মেলিডা গেটস ফাউন্ডেশন সবচেয়ে বড় সংস্থা। সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা খাতের মানোন্নয়নে বিপুল অর্থ দান করে থাকে। তবে এর পাশাপাশি এবার এসব দেশের মানুষের জন্য অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা আরও সহজ করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসেছে সংস্থাটি। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি তৈরিতে বিনিয়োগ করেছে প্রযুক্তি বিশ্বের এই দিকপালের গড়ে তোলা সংস্থাটি।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি অর্থনীতির একটি অন্যতম অংশ হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং পৌঁছে গেছে দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেনদেন ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ব্যবহার করছে মোবাইল ব্যাংকিং। দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বিকাশ। এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি শুরুর দিকে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিল। এর গুরুত্ব এবং অর্থনীতিতে অবদান অনুধাবন করতে পেরে ২০১৫ সাল থেকে বিল গেটস এখানে বিনিয়োগ শুরু করেন।
সমপ্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিষয়টি আবারও সামনে উঠে এসেছে। জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক এরিক শাটজ বিকাশের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন বাংলাদেশে।
বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা কামাল কাদির এবং তার ভাই ইকবাল কাদিরের হাত ধরে ২০১১ সালে চালু হয় বিকাশ। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি চালুর সময় তাদের কাছে ছিল ৫০ লাখ ডলার যা তারা এর আগের একটি স্টার্টআপ থেকে মুনাফা হিসেবে পেয়েছিলেন। দেশের ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিত একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে সহজ ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বিকাশ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই দুই ভাই।
প্রথম বছরেই বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর ২০১৫ সাল শেষে বিকাশের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। দেশের সব অঞ্চলে আনাচে কানাচে দেখা মেলে বিকাশের। এ থেকেই বোঝা যায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কতটা সাফল্যের দেখা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিকাশ নিয়ে বিল গেটসের জানান, এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিত মানুষের জন্য বিপ্লব ঘটাতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার যা ধারণা ছিল তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং। এর আগেও ক্ষুদ্রঋণ ও সমবায়ের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়েছিল তবে এসবের লেনদেনের ফি ছিল খুব বেশি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব স্বল্প ফি দিয়ে লেনদেনের এই সুবিধা চালু না হলে ব্যাংকিং শুধুমাত্র ধনীদের বিষয়ই হয়ে থাকতো।