৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই শীতে নিম্নবিত্ত, হত দরিদ্র, চা শ্রমিক পরিবার সদস্যের জন্য চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কনকনে বাতাসে গরম কাপড়ের অভাব চা বাগানের বৃদ্ধ পুরুষ-নারীদের কষ্ট একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এ শীত নিবারণের জন্য ডানকান ব্রাদার্স শমশেরনগর চা বাগানের বৃদ্ধ শ্রমিকদের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চটের বস্তা। তাও আবার সবার ভাগ্যে জোটেনি।
দেওছড়া চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ শ্রমিক কালীচরণ রবিদাস। বয়স ৮০ বছর। কালীচরণ জানান, এক মাস অইছে কোম্পানি বস্তা দিছে, ইতা দিয়া কিতা অইব। কোনতা অইবনি। শীতে মরি যাইতে আছি। সরকার দিত যদি আমরারে কম্বল উম্বল। এদিকে দেওছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শংকর রবিদাস বস্তা বিতরণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ম্যানেজমেন্ট দেওছড়া চা বাগানে ৪০ জনকে চটের বস্তা দিয়েছে। শমশেরনগর চা বাগানের ইউপি সদস্য সীতারাম বীন বলেন, ম্যানেজমেন্ট মাঝে-মধ্যে কিছু কিছু শ্রমিককে বস্তা দিয়ে থাকে। তবে এটা ঠিক নয়, কোম্পানির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের শীতবস্ত্র দেয়া প্রয়োজন। অপরদিকে শমশেরনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বস্তা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শমশেরনগর চা বাগানে কোনোদিনই শ্রমিকদের বস্তা দেয়া হয়নি, এখনো হচ্ছে না। আর শীতবস্ত্র দেয়ার বিষয়টি কোম্পানির দায়িত্ব।