সাম্প্রতিক কয়েকটি ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিয়ে বিএনপি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একটি সস্তা প্রচারণা। একটি বিশেষ শ্রেণি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে প্রচার করে।”
রোববার খুলনায় র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে তিনি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ঢাকার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে এই মাসেই র্যাবের দায়িত্ব নেওয়া বেনজীর বলেন, “তাহলে বিচার অন্তর্ভুক্ত হত্যাকাণ্ড কোনটি?
“অপরাধীরা অপরাধ করবে, আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেয়ে চেয়ে দেখবে? তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে কি হাডুডু খেলার জন্য?”
এক যুগ আগে র্যাব গঠনের পর থেকে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ।
বিরোধী জোটের আন্দোলনের মধ্যে সম্প্রতি ছাত্রদলের দুই নেতা এবং জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আবার একই অভিযোগ ওঠে।
বিএনপির সমালোচনার মুখে থাকা বেনজীর বলেন, “বর্তমানে যা চলছে, তা কোনো আন্দোলন নয়, এটা নাশকতা। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ নাশকতা প্রতিরোধে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করবে।”
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও তাতে সন্ত্রাস দমনে গঠিত বিশেষ এই বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
“কারও ব্যক্তিগত অন্যায়ের দায় র্যাব বহন করবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাবের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে র্যাব-৬ খুলনার কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনামুল আরিফ সুমনও ছিলেন।
এছাড়াও ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, খুলনার জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, খুলনার পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি।