৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
শিক্ষার অধিকারবঞ্চিত শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরাডি) সরকারের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইআরডির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জুট।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করার জন্য বিশ্বব্যাংক এ ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তাদের সহায়তা প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে এ ধরনের আরো দুটি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে। নতুন এ চুক্তির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৫ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।
নতুন এ প্রকল্পের অর্থ শিক্ষকদের এক বছরের প্রশিক্ষণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণ মানসম্পন্ন করার কাজে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়াও অনগ্রসর এলাকা চিহ্নিত করে সেসব এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর ফলে ওই সব এলাকার স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাকে সরকারের সফলতা উল্লেখ করে, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জুট বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে, এটি সরকারের ধারাবাহিক সফলতা। এই সফলতা ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। যার মাধ্যমে এ খাতে একটি স্থায়ী ও কার্যকর পদ্ধতি স্থাপন করা যাবে। যা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে ভূমিকা রাখবে।’
এ প্রসঙ্গে ইআরডির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো দেশের শিক্ষায় বিনিয়োগ করার মানে হচ্ছে সে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। বিশ্বব্যাংকের এ অর্থ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানদের স্কুলে নিয়ে আসতে কার্যকর ভূমিকার রাখবে।’
বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতে সংস্থার চলমান বিনিয়োগের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা। এর আওতায় বাংলাদেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ভোকেশনালসহ শিক্ষার বাইরে থাকা শিশুদের স্কুলে নিয়ে যেতে ব্যয় করা হচ্ছে। ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের ছয় বছরের সার্ভিস চার্জ দিতে হবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।