৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলের পরেই সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কাউন্সিলের পর আমরা মাঠে নামতে চাই। অনেক তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে বিএনপি কোনো দল নয়, এদের মাঠে নামার কোন ক্ষমতা নেই। কাউন্সিলের পর আমরা এসব সমালোচনার জবাব দিতে চাই। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের উন্নতির স্বার্থে এবং এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে চাই।”
আজ (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া নাগরিক ফোরামের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কাউন্সিল করার জন্য ভেন্যু পাইনি। কারণ সরকার সমর্থকরা আমাদের বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। আন্দোলন জোরদার করতে আগামী কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রেও কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানান তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দেয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১১৪টি ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের নামে নাটক ও প্রহসন হচ্ছে। জবরদখলের ধারাবাহিকতার এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
বিচার বিভাগ নিয়ে হতাশা জানিয়ে হাফিজ বলেন, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় আমরা জর্জরিত। আমরা কারাগারে গিয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। কিন্তু সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে একটি দিনের জন্যও রিমান্ডে নেয়া হয়নি। রিমান্ডে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিচার বিভাগের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে ফারাক আছে বলেও মন্তব্য করেন এ বিএনপি নেতা।
এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে অল কমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাইনাস টু ফর্মুলা যারা সৃষ্টি করেছে তাদের বাদ দিয়ে কেনো সম্পাদকদের জড়িত করা হচ্ছে। মাইনাস টু ফর্মুলার সঙ্গে ক্ষমতাসীদের দুই শীর্ষ নেতা জড়িত। সেই দুই নেতাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না? যার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সেই সাংবাদিক মাহফুজ আনামের প্রতি অসম্মান দেখানো হচ্ছে।
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, শেখ হাসিনা দেশ শাসন করার পরিবর্তে দেশের জনগণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। এই নির্যাতন ইয়াহিয়া খান ও আয়ুব খানের শাসনকেও হার মানিয়েছে। গোপালগঞ্জের পুলিশের জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।