৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
যশোরে ‘বাঙ্কারের’ আদলে কংক্রিটের তৈরি একটি গোপন আস্তানার সন্ধান মিলেছে। পুলিশ বলছে, আস্তানাটি ছাত্রশিবিরের। পাশে শিবিরের অফিস থেকে ১০টি হাতবোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ১১জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন, যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার শিবিরকর্মী বিল্লাল হোসেন ও নুরুজ্জামান, স্থানীয় মমতাজ বেকারির মালিক টিটো, কেফায়েতনগর গ্রামের বাদশা, আলামিনসহ আরও ছয় জন।
স্থানীয়রা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে জামায়াত অধ্যুষিত বসুন্দিয়া বাজার মোড়ে ছাত্রশিবিরের আঞ্চলিক কার্যালয়। এর পেছনে দু’শ গজ দূরে ভৈরব নদের পাড়ে বাগানের মধ্যে চলছে একটি ভবন নির্মাণ। ওই ভবনে মাটির নিচে গোপনে নির্মাণ করা হচ্ছিল একটি গোপন ‘বাঙ্কার’। সেখানে বাইরের লোকদের আনাগোনা বাড়ছিল। বিষয়টি লক্ষ্য করে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি পুলিশকে খবর দেন এবং পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সোহরাব হোসেন জানান, বিকেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে শিবির অফিসের পেছনে বাগানোর মধ্যে মাটি খুঁড়ে নির্মাণ করা হচ্ছিল গোপন আস্তানা। আর এই আস্তানায় প্রবেশ করার জন্য বানানো হয়েছে বিশেষ ধরনের সুড়ঙ্গ। শিবির নেতাদের তত্ত্বাবধানেই চলছিল নির্মাণ কাজ। পরে শিবির অফিস তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১০টি তাজা বোমা ও ৪টি ধারালো দেশি অস্ত্র। পরে ১১ জনকে আটক করা হয়।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি রাশেদের জমির ওপর ওই গোপন আস্তানা নির্মাণ করা হচ্ছিল।
এদিকে ওই জমির মালিক শিবির নেতা রাশেদ জানান, গোপন আস্তানা নয়। সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশে ভৈরব নদ। পানি নিষ্কাশনের জন্য সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান. গোপন আস্তানা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। অভিযান শেষ হলে মিডিয়াকে বিস্তারিত জানানো হবে।