৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকীতে আজ বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা সেখানে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার দিকে রওনা হন।
টুঙ্গিপাড়ায় বেলা ১১টার দিকে জাতির জনকের কন্যা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। পরে একই স্থানে বইমেলার উদ্বোধন ও সেলাই মেশিন বিতরণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। আগামীকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দিবসটি পালন উপলক্ষে দলের গৃহীত কর্মসূচি দেশবাসীর সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারিভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটি।
১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সাহসী ও আপোসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হবে।