৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিল আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আর তা সফল করতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে কাউন্সিলের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আগামী ১৯ তারিখ কাউন্সিল অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’
বিএনপির কাউন্সিল দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে উল্লেভযোগ্য ভূমিকা রাখবে এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে কাউন্সিল।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘কাউন্সিল সফল করতে সরকার সম্পূর্ন সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
কাউন্সিল নিয়ে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুনরায় জেগে ওঠার জন্য কাউন্সিল যে অনন্য ভূমিকা রাখবে, সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত।’ তিনি জানান, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য যে উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছিলো, সেই কমিটির আহ্বায়কদের নিয়ে কাউন্সিলস্থল সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছিলাম যে কিভাবে কাউন্সিল সফল করা যায়।’
কাউন্সিল আয়োজনে এরই মধ্যে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনের জায়গা অত্যন্ত কম। সেজন্য আমরা পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কিছুটা অংশ ব্যবহার করতে অনুমতি চেয়েছিলাম, যাতে করে আমাদের ডেলিগেটদের সেখানে বসার ব্যবস্থা করতে পারি।’
সরকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ব্যবহারের অনুমতি দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা করে দেবে।’
এর আগে উপ-কমিটির প্রধানদের নিয়ে কাউন্সিলের ভেন্যুস্থল পরিদর্শন এবং বৈঠক করে মির্জা ফখরুল। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালামসহ উপকমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর...