ঠাকুরগাঁওয়ে নিউ কুলফি, লাবন্য কুলফি, মেট্রো কুলফিসহ আরো ১৫-২০টি ফ্যাক্টরির অধিকাংশই নিম্নমানের সস্তা কুলফি আইসক্রিম তৈরি শুরু করেছে। আর বিভিন্ন গ্রামে রং বেরংঙের প্যাকেট করে ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারখানাগুলোতে তিন থেকে দশ টাকা মূল্যের দুধ কুলফি, দই কুলফি, ঝালটক কুলফি, অরেঞ্জ কুলফি ও লিচু কুলফি তৈরি হয়। সস্তা দামের এ আসক্রিম তৈরিতে নিম্নমানের ফুড কালার ও অত্যন্ত ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে। আইসক্রিম তৈরির জন্য যে সকল উপকরণ ব্যবহার করা হয় তাও স্বাস্থ্যসম্মত না। ফ্রিজগুলোতে ময়লা পানি ব্যবহার করা হয়। কারখানার চারপাশে মাছি ও মশার উপদ্রবতো স্বাভাবিক বিষয়।
এদিকে ঠাকুরগাঁও নিউ কুলফি আইসক্রিম কারখানার মালিক শাহজাহান ফুড কালার বা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, কেউ কেউ ওইসব উপকরণ বা ফুড কালার ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তিনি করেন না। এছাড়াও তার কারখানা হাইজিন নিয়ম মেনে চলে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সস্তা দামের এ আইসক্রিমে ক্ষতিকর দ্রব্য মিশ্রণের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। শিঘ্রই এটি বন্ধে অভিযান চালানো হবে। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাবারের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোস করা হবে না।