৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের সন্তান হিসেবে বনানীর সামরিক কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দাফনের অনুমতি পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘উনি (আরাফাত রহমান কোকো) প্রাক্তন একজন সেনাপ্রধানের সন্তান হিসেবে প্রচলিত নিয়মেই এটি তার প্রাপ্য।
তিনি বলেন, দেশের তো এখন সবকিছু ন্যায্যভাবে হচ্ছে না। তবুও প্রত্যাশা করি সেখানে লাশ দাফনের অনুমতি পাওয়া যাবে। অনুমতি না দিয়ে কেউ খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে না।’ ওই কবরস্থানের ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
নজরুল ইসলাম জানান, আরাফাত রহমান কোকোর কফিন মালয়েশিয়া থেকে আসার পর তা গ্রহণ করবে বিএনপি। এজন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ সরাসরি তার মা ও পরিবারের সদস্যদের শেষবারের জন্য দেখাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনা হবে। এখানে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্য কেউ আসতে পারবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানান, এরপর কোকোর লাশ বিকাল ৪টার মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য লাশ কিছুক্ষণ সেখানে রাখা হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে কোকোর লাশ সরাসরি বনানীর সামরিক কবরস্থানে নেওয়া হবে।
কোকোর কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না দাবি করে নজরুল ইসলাম দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের সর্বস্থরের মানুষকে তার জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য আবেদন জানান।
কোকোর মৃত্যুতে দেশবাসী, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও যারা দেশবিদেশ থেকে বিভিন্নভাবে সমবেদনা ও শোক জানিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান নজরুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকারী বিদেশী কূটনীতিকগণ স্বশরীরে এখানে এসে কোকোর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। শোক বইয়ে সই করেছেন। অনেকে বিদেশ থেকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম তাদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তিনি কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, জয়নাল আবেদিন, সম্পাদক জিয়াউর রহমান খানসহ অন্য নেতারা।