অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ফাংশন করেনি। যে কারণে দু’বার বুদবুদ দেখেছি। তবে বর্তমান কমিশন বাজারকে স্বাভাবিক জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০১০ সালের ভয়াবহ ধস সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ ধসের পর বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে চার বছর সময় লেগেছে। বর্তমান কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, পুঁজিবাজারের ওঠানামা স্বাভাবিক। তবে বাজার নিয়ে বেশি মন্তব্য করা ঠিক না। পুঁজিবাজারের বয়স প্রায় ৭০ বছর হলেও বাস্তবে রূপ পেয়েছে স্বল্প সময় হয়েছে।
পিজিডিসিএম-এ কোর কোর্স, ইন্টারমিডিয়েট কোর্স ও অ্যাডভান্স কোর্স এই ৩ শিরোনামে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি ভাগে থাকছে ৪টি করে বিষয়। আসন সংখ্যা ৪৫টি। এর মধ্যে আইসিবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবিসহ ক্যাপটিাল মার্কেট রেগুলেটর অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রেগুলেটদের জন্য ২০ শতাংশ হারে ৯টি আসন বরাদ্দ থাকবে। আর ৩৬টি আসনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আসন বরাদ্দ করা হবে।
কোর্স করতে ব্যয় হবে- এডমিশন ৯ হাজার, প্রতিটি বিষয় ৭ হাজার হিসাবে ১২টিতে ৮৪ হাজার, ল্যাব ফি ৩ হাজার ও লাইব্রেরী ৩ হাজার টাকা। মোট ৯৯ হাজার টাকা ব্যায় হবে। আর ক্লাস হবে সকাল ৯ থেকে ১২ টা, দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৩টা ও বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, পিজিডিসিএম কোর্সের মাধ্যমে একজন পুঁজিবাজারের বেসিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। আর বিএসইসির বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পিজিডিসিএম কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চার কমিশনার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতিদ্বয় ও কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা।