বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তিনি আরও বলেছেন, “বোমাবাজদের যেভাবে ধাওয়া দিচ্ছেন, এ ধরনের কর্মসূচি করতে আসলে তাদেরকেও সেভাবে ধাওয়া দিতে হবে।”
বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পেট্রোল বোমা ছোড়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন, যার জন্য আন্দোলনকারীদের দায়ী করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
অন্যদিকে এসব নাশকতার জন্য ‘সরকারের এজেন্টদের’ দায়ী করে নিহতদের জন্য শুক্রবার দোয়া দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সেদিন একই ধরনের কর্মসূচি রেখেছে আওয়ামী লীগও।
ছেলেহারা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিএনপির আচরণের সমালোচনা করেন সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
“আপনি দেখা করতে পারেন নাই ভালো কথা। কিন্তু আপনার ঘরের দরজা খুলে কেন প্রধানমন্ত্রীকে বসতে দেওয়া হল না? এই পরিস্থিতিতে শত্রুর বাড়িতে কেউ গেলেও বসতে দেওয়া হয়।”
“আপনার (খালেদা জিয়া) মনের কদর্য চিত্র এবং আপনার জিঘাংসাপরায়ণ মনোভাব এই ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির সামনে উৎকটভাবে প্রকাশিত হয়েছে।”
সহিংসতা দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে হতাহতের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনাও করেন আওয়ামী লীগ নেতা।
“যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদেরকে এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ফ্রান্সে একটি পত্রিকা অফিসে হামলা করতে আসা জঙ্গিদেরকে তিনদিন অপারেশন চালিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বোস্টনে বোমা হামলা করতে আসা জঙ্গিদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, বেলজিয়ামে গুলি করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও চায়, যারা বোমাবাজি করছে তাদেরকে যেন গুলি করা হয়।”
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, “বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, একইভাবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তখন তাকে কঠিনভাবে পরিস্থিতি দমন করতে হয়েছিল।”
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক আলো বলেন, “মালয়েশিয়ার নেতা মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতা নেওয়ার পর সাত বছর কোনো লোককে কথা বলতে দেননি। অনেক কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করার ফলে ওই দেশ আজকের অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহীনুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ছাইফুদ্দিন খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাসিবুর রহমান মানিক বক্তব্য রাখেন।