বিএনপি জোটের চলমান অবরোধের মধ্যে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। একই সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমি আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এ বিশাল আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলা একাডেমি। রোববার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বইমেলার সহ-পৃষ্ঠপোষক টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. শাহ আলম, সংস্কৃতি সচিব রণজিত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৬৫টি স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১২৮টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০০ বর্গফুটের প্যাভিলিয়ন দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে, পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দাসংস্থাগুলো, মেলা প্রাঙ্গণে ৭৫টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও এর পাশের লেককে মেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন প্রসঙ্গে জানানো হয়, এবারই প্রথম বাংলা একাডেমি এ ধরনের আয়োজন করছে। একাডেমির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে প্রতি দুই বছর অন্তর এ আয়োজন করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবে একাডেমি। সাহিত্য সম্মেলনে ১২টি দেশের ৪৮ জন সাহিত্যিক অংশ নেবেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, দেশে যে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি চলছে তারপরও আমার ধারণা বইমেলায় কোন বিঘ্ন ঘটবে না। কারণ আমাদের সবারই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে।
বই মেলা প্রতিদিনি বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা, ছুটির দিন ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া চারদির শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হবে। নজরুল মঞ্চ ঘিরে নির্মিত শিশুকর্নারে থাককে শিশু-কিশোর বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল। এবারের বই মেলায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ১০০টির বেশি নতুন বই পাওয়া যাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।