নাশকতার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ, ‘অজ্ঞাত স্থান’ থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে হরতাল-অবরোধের ঘোষণা দিতেন যিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলমগীর কবির রাজের আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলছে।
এর আগে দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে গত ২৬ জানুয়ারি গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোডে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন বাড্ডা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন।
রিমান্ড আবেদন বাতিল ও রিজভীর জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপির কয়েক আইনজীবী রিজভীর পক্ষে শুনানি করছেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদারসহ কয়েক আইনজীবী।
অবরোধে নাশকতার পিছনে উস্কানি ও অর্থ যোগানের অভিযোগ আনা হয়েছে রিজভীর বিরুদ্ধে।
গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ নাশকতার বিভিন্ন ঘটনায় রিজভীর সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন-মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চাইছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
শনিবার ভোররাতে ঢাকার বারিধারার একটি বাড়ি থেকে রিজভীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে বিকালে তাকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়।