৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে, জরুরি আইন প্রয়োগের কোন সম্ভাবনা নেই বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুজন নীতি নির্ধারক। দেশে এখনও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করছেন তারা। তবে তারা এও স্বীকার করছেন যে, দেশে এক ধরনের অচল অবস্থার অবশ্যই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ থেকে দেশ কবে পরিত্রাণ পাবে, সেই উত্তর অজানা বলে জানান তারা।
এদিকে, এক মাস পূর্ণ হতে চলল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ। এরই মধ্যে নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এখন আবার ধাপে ধাপে ডাকা হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী হরতাল।
অপরদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না নাশকতা। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও যানবাহনে লাগানো হচ্ছে আগুন। পুড়ে মারা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় অনেকেই মনে করেন, সহিংসতা বন্ধে সাংবিধানিক বিকল্প পন্থা বেছে নেবে সরকার।
তবে, সাংবিধানিক বিকল্প পদ্ধতি বা জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তাদের দাবি, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় নি। আর তাই জরুরী অবস্থা জারির কোন সম্ভাবনাও নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ্ বলেন, পরিস্থিতি এমন অবস্থায় নেই যেখানে জরুরী অবস্থার প্রয়োজন আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণরুপে দেশের অবস্থা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছে।
সংলাপ কিংবা সমঝোতার প্রশ্নেও অনড় আওয়ামী লীগের এই নেতা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিএনপি যে আচরণ দেখিয়েছে, তারপর আর এ পথে হাঁটার সম্ভাবনা কম সরকারের। তবে তারা এটাও বিশ্বাস করেন যে, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।
আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার (খালেদা জিয়া)বাড়িতে গেলে যদি আপনি ঢুকতে না দেন তাহলে কিভাবে আলোচনা হবে।
কবে নাগাদ এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী জাফর উল্যাহ্ বলেন, এখানে সময় বেধে দেয়া সম্ভব নয়। এটা নির্ভর করে আমাদের বিরোধী দল এবং ২০ দলীয় জোটের ওপর। আসলে রাজনীতি শেষ বলে কিছু নেই বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
অচল অবস্থা কাটাতে সরকারের ব্যর্থতা অস্বীকার করলেও, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তারও কোন সদুত্তর নেই তাদের কাছে। তবে, সহিংসতার লাগাম টানতে আরো কঠোর হবার ইঙ্গিত তাদের কণ্ঠে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যারা সবসময় অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করা এবং অসাংবিধানিক সরকারকে উৎসাহিত করতে চায় তাদের মাথায়ই এরকম চিন্তা আসতে পারে। কিন্তু এই চিন্তা তাদের মাথার মধ্যেই রয়ে যাবে।
হানিফ বলেন, এরকম নাশকতা যারা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিৎ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া।