৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বড় সন্ত্রাসী দলকে দমন করতে একটু বেশি সময় লাগে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন একটা দেশে সন্ত্রাসী থাকেন মোট জনসংখ্যার ০ দশকিম ১ শতাংশর কম। কিন্তু বিএনপির ৩০ শতাংশ সমর্থক রয়েছে। তাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী বাহিনী রয়েছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বদ্ধ করবেন না যাতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার একটি সংলাপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দেখা গেছে চট্টগ্রামে ৫ জানুয়ারির সমাবেশের নাম করে নাশকতা চালানোর জন্য সেখানকার বিএনপি মহানগরের সভাপতি আমির খসরু মাহমুদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আমির খসরু এতে রাজি হননি। তিনি একজন সৎজন ব্যক্তি। এতে খালেদা জিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতিকে ডিঙ্গিয়ে বিএনপি নেতা গোলাম আকবরকে ফোন করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং আকবরকে বলা হয়েছিল খরুকে রিমুভ করা হবে। এতেই প্রমাণিত হয় সারাদেশে যতো পেট্রোলবোমা মারা হচ্ছে, এর হুকুমদাতা খালেদা জিয়া।’
সারা দেশে মানুষ হত্যার জন্য খালেদা জিয়াকে কাঠগড়ায় ও জনতার আদালতে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘আপনি জনগণের প্রতি নন্যূতম দায়িত্ব দেখাতে পারেননি।’
হানিফ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার ছেলে কোকোর সন্তানদের পরীক্ষার জন্য মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দিয়েছেন। আপনি নাতিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত, অথচ এ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। এ নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা নেই। আপনার লজ্জাও হয় না। দেশের মানুষ আপনাকে এখন বিএনপির নয়, সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে ভাবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তথা-কথিত হরতাল অবরোধের নামে খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, কিন্তু বাংলার ১৬ কোটি মানুষ তার (খালেদা জিয়া) এই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন করতে দেবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশ পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারাই বাঙালি জাতির কপালে এই কালিমা লিখে দিয়ে ছিলেন।’
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষায়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ণ দেবনাথ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।