৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে রাজধানীর রমনা থানার ওসিসহ দুই পরিদর্শক ও এক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের সাংবাদিক নাজমুল হুদা সুমন মঙ্গলবার ঢাকার হাকিম আদালতে এই মামলা করেন।
মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত এই অভিযোগ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আগামী ১১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ একজন সহকারী কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দিয়ে এই তদন্ত করতে হবে।
বাদী সুমনকে গত রোববার রাতে বিজয় নগর এলাকায় পেটায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সহকর্মীকে নিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার মোটর সাইকেলে চলার ছবি তুলতে যাওয়ায় তাকে পেটানো হয়।
বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে নাশকতা এড়াতে মোটর সাইকেলে চালকের সঙ্গে কারও আরোহন সম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
নিউ এইজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা সুমন থাকেন জিয়াউর রহমান হলে।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, সুমন মোটর সাইকেলের পেছনে একজনকে বসিয়ে বিজয়নগর মোড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ পেছন থেকে তার সঙ্গীকে নামিয়ে দিলে বাকবিতণ্ডা হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মো. মোস্তফা নামে এক উপ-পরিদর্শককে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তবে সুমনের মামলায় যে তিনজন আসামিকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে, এর মধ্যে তার নাম নেই।
সুমনের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় অজ্ঞাতনামাসহ ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় দুই পরিদর্শকের পদ উল্লেখ করা হলেও নাম উল্লেখ নেই। উপপরিদর্শক মেহেদী হাসানের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, মূল অভিযোগ তার বিরুদ্ধেই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সুমন ও তার সঙ্গী খায়রুজ্জামান শুভকে রাজমনি সিনেমা হলের মোড়ে এক দফা পেটানোর পর রমনা থানায় নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। সাংবাদিকের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।