৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
দু’দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। দলের নেতাকর্মীরা কেউ এলে সাদা পোশাকের পুলিশ গেটের কাছে বাধা দিচ্ছে অথবা আটক করছে। মঙ্গলবারও কাউকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশি বাধায় তারা সেখানে যেতে পারেনি।
বিচ্ছিন্ন রয়েছে ডিশ লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ। বন্ধ রয়েছে কয়েকটি মোবাইল ফোনের সিমের নেটওয়ার্কও।
কার্যালয়ের আশপাশে বাড়ানো হয়েছে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা। সোমবারের ধারাবাহিকতায় গতকালও খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে চেয়ারপারসনের কার্যালয়মুখী হননি দলের নেতাকর্মীরা। সেখানে যারাই যাচ্ছেন তাদের হয় গ্রেপ্তার, নয় ফেরত দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ২০দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক। কিন্তু মূল ফটকের সামনে তাকে আটকে দেয় পুলিশ। চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে তাকে গেট থেকে সরিয়ে আনে। দীর্ঘ ১০ মিনিটের বেশি সময় তিনি এ ঘেরাও অবস্থায় ছিলেন। তারপর তাকে ফিরে যেতে বলে পুলিশ।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ঘেরাও করতে গুলশান-২ এ জড়ো হয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট স্বপন চৌধুরীর নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করতে যান। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে গুলশান-২ গোলচত্বরে বিক্ষোভ করে তারা ফিরে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সামনে যান মুফিদুল ইসলাম নামে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের এক নেতা।
সেখানে গিয়ে তিনি হঠাৎ করেই কোমর থেকে একটি অস্ত্র বের করে খালেদা জিয়াকে গুলি করার হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। পরে সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে সরিয়ে দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মুফিদুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রটি লাইসেন্স করা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, কেবল টিভি, ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া সরকার। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও অন্যগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।