৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
সুন্দরী নারীকে দিয়ে পাতা হয় প্রেমের ফাঁদ। তাতে এসে ধরে দেন সরকারি এক কর্মকর্তা। শেষে গোপনে দেখার করার সুযোগ দিয়ে করা হয় অপহরণ। এরপর মুক্তিপণ চেয়ে চলে দরকষাকষি। এভাবেই চলে সুন্দরীদের নিয়ে রমরমা ব্যবসা।
এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়া জেলা শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে। ঘটনার শিকার সরকারি কর্মকর্তার নাম ইউছুব আলী। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে কর্মরত জুনিয়র অডিটর।
ঘটনা জানার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ইউছুব আলীকে মফিজ পাগলার মোড়ের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও ঘটনার সংশ্লিষ্টরা জানান, সুন্দরী নারীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বগুড়া শহরে ডেকে আনা হয় অডিটর ইউছুব আলীকে। এরপর শহরের মফিজ পাগলার মোড়ের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রাখা। পরে তার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পরিস্থিতির শিকার ইউছুব আলী লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে না জানিয়ে এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিকাশের মাধ্যমে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দিয়ে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
ওই রাতে ঘটনাটি জানতে পারেন ইউছুব আলীর পরিবারের সদস্যরা। তারা বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানায়। সোমবার গভীর রাতে কৌশল অবলম্বন করে টাকা নেয়ার সময় শহরের খোকন পার্ক থেকে হাতে নাতে ৩ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইউছুব আলীকে পুলিশ উদ্ধার করে। তবে অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন- বগুড়া শহরের কালিতলার চণ্ডিদাসের ছেলে রঞ্জিত পোদ্দার (৩০), সুত্রাপুরের মাবুদ সওদাগরের ছেলে মওদুদ ওরফে সন্তু সওদাগর(৩০) এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের শাহাদতের ছেলে হাসানুজ্জামান(২৬)। ঘটনার সময় শহরের খান্দারের শাকিল নামের আরেক অপহরণকারী পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ইউছুফ আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন।
গাজিউর রহমান আরো জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্দরী নারীকে ব্যবহার করে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছে।